কভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাকুতেন ভাইবার। এর আওতায় যেসব সংস্থা খাদ্য সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে, তাদের আর্থিক সহযোগিতা দেবে ভাইবার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উদ্যোগটির আওতায় ভাইবার সম্পূর্ণ নতুন স্টিকার প্যাক ও কমিউনিটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী, কর্মী ও অন্যান্য মানবিক অংশীদারের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস (এফএও), ইন্টারন্যাশনাল
ফেডারেশন অব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ওয়ার্ল্ড
ওয়াইড ফান্ড (ফর নেচার), ইউনিসেফ,
ইউ-রিপোর্ট এবং ইউএন মাইগ্রেশন উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে।
ভাইবার গৃহীত এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ইংৃরজি ও রজ্ঞশ ভাষায় ভাইবারের স্টিকার প্যাক এবং ভাইবারের নিজস্ব শিক্ষামূলক সফাইট ওয়াড্ড্থ হা্বার টুৃগদারস কমিউনিটি। প্রথমবারের মতো করা ভাইবারের এ কমিউনিটি ব্যবহারকারীদের অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় নানা বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবে। যার মধ্যে রয়েছে খাবার খাওয়া, কেনা-কাটা, রান্না ও খাবারের অপচয় হ্রাস। পাশাপাশি খাদ্য সংকট সম্পর্কে অবগত হয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর খাদ্যপ্রাপ্তিতে সহায়তা করবে এ কমিউনিটি। ভাইবারের মানবিক অংশীদাররা (যাদের প্লাটফর্মটিতে চ্যানেল রয়েছে) এ-সংক্রান্ত কনটেন্টগুলো পরিচালনা করবে।
নির্দিষ্ট ক্যাম্পেইন স্টিকার প্যাক ডাউনলোডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আর্থিকভাবে এ উদ্যোগে ভূমিকা রাখতে পারে। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এ মুনাফা দাতব্য তহবিলে দেয়া হবে। এছাড়া যাদের অর্থ অনুদানের সুযোগ নেই, তারা কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে এ উদ্যোগকে সমর্থন দেয়া এবং পরিবার ও বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে অবদান রাখতে পারবেন। এ কমিউনিটি ১০ লাখ ব্যবহারকারীতে পৌঁছালে ভাইবার এ কার্যক্রমে অনুদান হিসেবে ১০ হাজার ডলার দেবে।
এ নিয়ে রাকুতেন ভাইবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামেল আগাওয়া বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্ব এবং কভিড-১৯ বিপন্ন জনগোষ্ঠীকে আরো বিপন্ন করে তুলেছে। খাবারের স্বল্পতা ও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়া ক্ষুধাজনিত সমস্যা মোকাবেলা করাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন অলস বসে থাকার সময় নয়, তাই আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।