এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স

জুলাইয়েও বাড়তি দামে খাবার কিনেছে বিশ্ববাসী

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরটা বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। তবে বছরের দ্বিতীয় মাসেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দামে ধস নামতে শুরু করে। ধারাবাহিকতায় মে মাসে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) ফুড প্রাইস ইনডেক্স বা খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ১৭ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। তবে এক মাসের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায় সূচকমান। জুনে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ বৃদ্ধি পায়।  ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আরো দশমিক শতাংশ বেড়েছে। সময় বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম সামান্য বাড়লেও চিনি, ভোজ্যতেল দুগ্ধপণ্যের দাম আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে কমতির দিকে ছিল আমিষপণ্যের দাম। খবর এফএও।

গত জুলাইয়ে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স (এফএফপিআই) দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক পয়েন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ বেশি। গত জুনে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ছিল ৯৩ দশমিক পয়েন্ট। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল ১০২ দশমিক পয়েন্ট। পরের মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৯৯ দশমিক পয়েন্টে। মার্চ এপ্রিলে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল যথাক্রমে ৯৫ দশমিক পয়েন্ট ৯২ দশমিক পয়েন্টে। মে মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আরো কমে ৯১ পয়েন্টে নেমে আসে। তবে টানা পতন কাটিয়ে জুনে ঘুরে দাঁড়ায় খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক।

এফএওর প্রতিবেদন বলছে, গত মাসে বিশ্বজুড়ে আমিষপণ্যের দাম কমলেও চিনি, খাদ্যশস্য, দুগ্ধপণ্য ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। সময় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক পয়েন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় গত মাসে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক গড় দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটির মতে, নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীতে খাদ্যশস্যের সাপ্লাই চেইন কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় গমের বাম্পার ফলন সূচককে নিম্নমুখী রেখেছিল। সাপ্লাই চেইনে বিদ্যমান বিঘ্ন অনেকটাই কমে এসেছে। বেড়েছে বেচাকেনা। এর প্রভাবে শুধু গম নয়, বরং ভুট্টা, চাল যবের দামও বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সময় ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক পয়েন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ বেশি। সংস্থাটির মতে, লকডাউন উঠে যাওয়া চীনসহ শীর্ষ ভোক্তা কয়েকটি দেশ পাম অয়েল সয়াবিন তেলের আমদানি বাড়াতে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক গড় দামে। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলোয় বায়োডিজেল উৎপাদনে বিভিন্ন ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধি এর পেছনে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে চিনি দুগ্ধপণ্যের। গত মাসে বিশ্বজুড়ে চিনির গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ৭৬ পয়েন্টে। আগের মাসের তুলনায় তা পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ বেড়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করায় ব্রাজিলের চিনিকলগুলো ইথানল উৎপাদনে আখের ব্যবহার বাড়িয়েছে। এতে চিনি উৎপাদনে প্রভাব পড়ায় বাড়তে শুরু করেছে দাম।

গত জুলাইয়ে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়ে ১০১ দশমিক পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় গত মাসে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় দাম দশমিক শতাংশ বেশি ছিল। মধ্যপ্রাচ্য পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আমদানি বাড়ানোয় সময় দুগ্ধপণ্যের গড় দাম বাড়তির দিকে ছিল।

এদিকে জুলাইয়ে আমিষপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ৯৩ শতাংশীয় পয়েন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সূচকমান কমেছে দশমিক পয়েন্ট। মহামারীর কারণে চীন মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমিষপণ্যের রফতানি শুরু হয়েছে। তবে ইউরোপের দেশগুলো এখনো আমিষপণ্য আমদানিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে। পরিস্থিতি এসব পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন