দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো হয়েছে। সড়কপথের পাশাপাশি রেলেও আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। স্থানীয় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল হিলিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমে ১৭ টাকায় নেমে এসেছে।
গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১৭-১৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একদিন আগেও আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৯-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেই হিসাবে একদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২ টাকা কমেছে।
স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, কোরবানি ঈদের আগে ও পরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক ও রেলপথে ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ঈদের আগে সর্বশেষ কার্যদিবসেও এ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এ কারণে ঈদের সময় দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল। ফলে এবার ঈদের সময় পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল।
তিনি আরো বলেন, কোরবানি ঈদের আগে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো আড়তগুলোয় রয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজও। ফলে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ বেশি রয়েছে। এর জের ধরে পাইকারি পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
