চুয়াডাঙ্গায় বাস চাপায় নিহত বেড়ে ৬

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী পরিবহন রয়েল এক্সপ্রেসের চাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলার যুগীরহুদা গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সরোজগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকানদার নিজাম উদ্দিন বলেন, সকালবেলা বরফ বোঝাই একটি আলমসাধু বাজারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পাশে রিকশাভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাধারণ মানুষও ছিল। এসময় রয়েল এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী পরিবহন দ্রুত গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকসহ আলমসাধু, রিকশাভ্যান ও মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের আতর আলী মার্কেটের স্বত্ত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাসটি চাপা দিয়ে দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গার দিকে চলে যায়।’

এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের পল্লীচিকিৎসক সদর উপজেলার মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিলন (৩৫), বসু ভান্ডারদহ গ্রামের নিতাই হালদারের ছেলে ষষ্টি হালদার (৪০),তিতুদহ গ্রামের প্রিয়ত আলীর ছেলে রাজু আহম্দে (৩০), তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফুল (৪৫) তিতুদহ গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে কালু মন্ডল (৩৫) ও তিতুদহ গ্রামের নুতার ছেলে সোহাগ (২৫)।

আহত হন সরোগঞ্জ বাজারের বজলুর রহমানের ছেলে বাবলু (৪৫), তিতুদহ গ্রামের মরহুম তৈয়ব আলীর ছেলে আলমগীর (২৭) ও একই গ্রামের জুড়ন মন্ডলের ছেলে বেল্টু (৩০) ও মোহাম্মদজুম্মা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে আকাশ (২৫)। এর মধ্যে গুরুতর আহত বাবলুকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কান্তি দাস বলেন, রয়েল এক্সপ্রেসের ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২১৬১ যাত্রীবাহী পরিবহনের চালক যে দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাতে ছয়জন মারা গেছে। ওদের পরিবারের সদস্যরা যদি মামলা করে তবে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়ে মামলা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন