ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন : পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানেই বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়া একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশের ওপরে নম্বর অবস্থানে যথারীতি চীন। তবে খাতে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করছে এশিয়ার আরেক দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির অবস্থান নম্বরে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে গ্লোবাল ক্লথিং এক্সপোর্টে বাংলাদেশের বাজার অংশীদারিত্ব ছিল দশমিক শতাংশ। এর আগের বছর ২০১৮ সালে যেটা ছিল দশমিক শতাংশ। একক দেশ হিসেবে ২০১৯ সালে তৈরি পোশাকের রফতানি বাজারে শীর্ষ পাঁচ দেশের প্রথমে আছে চীন। তাদের বাজার অংশীদারিত্ব ছিল দশমিক শতাংশ। ঠিক এর পরের অবস্থানে বাংলাদেশ দশমিক শতাংশ বাজার অংশীদারিত্ব নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

তবে বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এশিয়ার আরেক দেশ ভিয়েতনাম। দশমিক শতাংশ বাজার অংশীদারিত্ব নিয়ে তৈরি পোশাক রফতানিতে তাদের গতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বৈশ্বিক বাজারে ভারত দশমিক শতাংশ তুরস্ক দশমিক  শতাংশের রফতানি জোগান দিয়ে তাদের প্রথম পাঁচের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্যময়তা আনতে পারলে রফতানির পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে সুরক্ষা সামগ্রী রফতানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আরো পরিকল্পনা করে এগোনো উচিত বলেও মনে করেন অনেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রফতানি প্রবৃদ্ধি এখন যে তৈরি পোশাকের পণ্যগুলোতে রয়েছে, সেখানে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাছাড়া অন্যান্য দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয়, সেসব পণ্যের সক্ষমতা যদি আমাদেরও তৈরি হয়, তাহলে সেই পণ্যের ক্রেতারাও বাংলাদেশে আসবে বলে ধারণা তাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পোশাক খাতের অবদান শতাংশ। আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চীন-আমেরিকা বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে চীন থেকে অনেক ক্রেতা তাদের বাজার সরিয়ে নিচ্ছে। এরই ইতিবাচক সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ ভিয়েতনাম। তবে খাতে ক্রমেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়ে উঠছে।  যার আলোকে পরিকল্পনা সাজানো এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলছেন দেশীয় বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শুধু দেশী বিনিয়োগকারীদের ওপর নির্ভর না করে চীন থেকে যারা বিনিয়োগ তুলে নিতে চান, তাদের আকর্ষণ করতে পারলে খাতের আরো উন্নয়ন হবে। সেই সঙ্গে ভিয়েতনামকে চ্যালেঞ্জ করাও সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরো কয়েকটি গভীর সমুদ্রবন্দরের মালিক হচ্ছে বাংলাদেশ। এর ফলে পণ্য রফতানিতে কমে যাবে লিড টাইমের পরিমাণ। এতে রফতানির গতি আরো বাড়বে বলেও মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন