৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

বার্ষিক ইপিএস বেড়েছে ৩৪ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ আগস্ট।

সমাপ্ত হিসাব বছরে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫০ পয়সা। হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১৭ পয়সা বা ৩৪ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ৯৩ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৩ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ পয়সা, ৩১ মার্চ যা ছিল ১১ টাকা ৮৪ পয়সা।

সর্বশেষ পাঁচ হিসাব বছরেই শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার দিয়েছে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। তার আগের তিন হিসাব বছরেও তাই। ২০১৪ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

সর্বশেষ সিপিএ রেটিং অনুযায়ী ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)

বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের দিনের চেয়ে ৮০ পয়সা বা দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮০৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৬ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৩২ দশমিক , হালনাগাদ প্রান্তিকীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২২ দশমিক ৩৬।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন