জানুয়ারি-জুলাই

৮৩ লাখ টন ইস্পাত ও লোহা আমদানি ভিয়েতনামের

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভিয়েতনামের আমদানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ইস্পাত লোহা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে শিল্প ধাতু দুটির আমদানি ক্রমেই বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) দেশটিতে ইস্পাত লোহা আমদানি কমতির দিকে ছিল। মূলত নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর জের ধরে এবার ভিয়েতনামে শিল্প ধাতু দুটির আমদানি কমেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর সিনহুয়া রয়টার্স।

ভিয়েতনাম স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৮৩ লাখ টন ইস্পাত লোহা আমদানি করেছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। সময় শিল্প ধাতু দুটির আমদানি বাবদ ভিয়েতনামের আমদানিকারকদের মোট ৪৮০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ইস্পাত লোহা আমদানি বাবদ দেশটির ব্যয় কমেছে ১৪ দশমিক শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকরা চীন, জাপান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ইস্পাত লোহা আমদানি করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে সর্বশেষ জুলাইয়ে ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সব মিলিয়ে ১৬ লাখ টন ইস্পাত লোহা আমদানি করেছেন। সময় শিল্প ধাতু দুটির আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে ইস্পাত লোহা আমদানি করে ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকদের মোট ৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে ৩০ দশমিক শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে বছরের শুরুর দিকে ভিয়েতনামের ইস্পাত লোহা আমদানি শ্লথ হয়ে এসেছিল। এর প্রভাব পড়েছে সাত মাসের সামগ্রিক আমদানিতে। তবে যত দিন যাচ্ছে দেশটিতে ইস্পাত লোহা আমদানি ফের বাড়তে শুরু করেছে।

দেশটির জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভিয়েতনামে সব মিলিয়ে কোটি ৪৬ লাখ টন ইস্পাত লোহা আমদানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। ইস্পাত লোহা আমদানি বাবদ গত বছর ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকদের মোট ৯৫০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছিল। তবে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও ওই সময় শিল্প ধাতু দুটির আমদানি বাবদ ভিয়েতনামের ব্যয় কমেছিল দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন