জুলাইয়ে ভারতে ভোক্তা আস্থা সূচক সর্বনিম্নে

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক গতিশীলতা থমকে গেছে। কর্মসংস্থানহীনতা, আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যয়ের সক্ষমতা হারানোর ভয় এখনো দূর হয়নি ভোক্তাদের মন থেকে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের ভোক্তা আস্থা সূচকে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে গত মাসে দেশটিতে সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামতে দেখা গেছে। খবর ব্লুমবার্গ।

মহামারীর বিস্তার রুখতে গত মার্চের শেষের দিকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী কঠোর লকডাউন আরোপ করে মোদি সরকার। তার পর থেকেই গ্রাহকদের আস্থা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে সেখানে। আরবিআইয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে ভোক্তা আস্থা সূচক ৫৩ দশমিক পয়েন্টে নেমে এসেছে, ১০০ পয়েন্ট থেকে যা অনেক কম। ১০০ পয়েন্টকে আস্থা অনাস্থার পার্থক্যকারী সীমা হিসেবে দেখা হয়। অর্থাৎ আস্থা সূচক ১০০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেলে ভোক্তারা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী নন বলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কর্ম আয়ের সংস্থানের বিষয়ে ভোক্তাদের আস্থা মে মাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। জরিপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ উত্তরদাতাই তাদের অত্যাবশ্যকীয় ব্যয় কমিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। আর জরুরি নয়, এমন পণ্যের ব্যয় আগামী বছরেও বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ভোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। আর ব্যয় বাড়াতে গেলে মুদ্রানীতি কিছুটা শিথিল করতে হয়। কিন্তু আরবিআই সেটাও পারছে না। কারণ ভারতে একদিকে যেমন ভোক্তা আস্থা কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত থেকে শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কারণে বৃহস্পতিবার আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির ছয়জন সদস্যই পলিসি রেট অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন