আলোকপাত

মহামারী জীবনের শিক্ষা

ড. মোহাম্মদ আসাদ উজ জামান

অনেক অনেক আগের কথা। যখন পৃথিবীতে ২৪ ঘণ্টায় একদিন হতো। ৩৬৫ দিনে এক বছর হতো। মেঘ না থাকলে দিনের বেলায় আকাশে সূর্য দেখা যেত। রাতের বেলায় দেখা যেত অনেক তারা। তখন ছেলেরা দেখতে ছিল একেবারেই অন্য রকম, ওদের নাকের দুপাশে দুটো চোখ ছিল। আর মেয়েরা ছিল আরো বেশি অন্য রকম, ওদের চোখ দুটোর ঠিক মাঝখানে একটি নাক ছিল। সেই সময়ে শিক্ষায় নেমে এসেছিল এক মহাবিপর্যয়! সেই বিপর্যয়ে মানুষেরা হয়ে গিয়েছিল দিগ্ভ্রান্ত।

সে সময়ে একটি দেশের মানুষ বাজারে যেত। সে দেশের বাজারে ছিল অনেক ভেজাল। ওরা বাজারে থেকে ফিরে এসে সন্তানকে শেখাত না ভেজাল দিলে কী হয়, ওরা সন্তানদের শিক্ষা দিত না কীভাবে ভালো আর মন্দ বোঝা যায়। বরং ওরা বাজার থেকে ফিরে এসে নিজের সন্তানদের জন্য কয়েকজন প্রাইভেট শিক্ষক রেখে দিত। যেসব শিক্ষক অল্প পড়িয়ে বেশি নম্বর পাওয়াতে পারতেন, তাদের ছিল বিশেষ কদর। এরপর প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল, দেখাদেখি ইত্যাদি তো ছিলই! ওরা সবকিছুই করত শুধু তড়তড় করে ওপরে ওঠার জন্য। মা-বাবা নিজেরা তাদের সন্তানদের বেশি সময় দিত না। ফলে তড়তড় করে ওপরে চড়তে গিয়েই ওরা ভালো-মন্দ ভালো করে ধরতে পারত না, কারণ ভালো-মন্দের সঙ্গে জীবন বুঝতে গেলে অনেক সময় লাগে। মা-বাবারা শুধু চাইত ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় অনেক ভালো করবে, অনেক বড় চাকরি করবে, কিন্তু জীবনের মূল্যবোধের বেলায় তারা হয়ে পড়েছিল ভীষণ উদাসীন।

সে দেশে শুধু খাবারেই ভেজাল ছিল না, এমনকি প্রাণের জন্য যে পানি, তাতেও ছিল ময়লা আর ভেজাল। সাধারণ মানুষ সে পানি না ফুটিয়ে পান করতে পারত না। প্রাণরক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল দেয়ার নজির তখনকার দিনে ছিল বৈকি! ওরা নদীকে করেছিল বিষাক্ত, রাস্তার পাশে ময়লা ফেলে বাতাসকে করেছিল তিক্ত! কিন্তু এগুলোর সবই আবার নানা আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসত ওদের জীবনে। 

তখনকার দিনে সে দেশের মানুষ যেমন খুশি মেডিকেল কলেজ বসিয়ে অনেক অনেক ডাক্তার বানাত। কিন্তু সেসব ডাক্তারের কাছে নিজেরা চিকিৎসার জন্য যেত না। যাদের বেশি টাকা থাকত ওরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেত। আরো বেশি টাকা থাকলে ওরা দেশের বাইরে থেকে ভালো খাবার এনে খেত। দেশের ভেজাল খাবার বিত্তবানরা খেতে চাইত না। অথচ ওরাই হয়তো এটা-সেটা ভেজাল দিয়ে দেশের মানুষের কাছে খাবার বিক্রি করত, না-হয় ভেজাল জিনিস দিয়ে রাস্তাঘাট বানাত, ভেজাল বা নিম্নমানের জিনিস দিয়ে অন্য মানুষের বাড়ি বানিয়ে দিত। কারণ তখন শুধু খাবারেই ভেজাল ছিল না, ভেজাল ছড়িয়ে পড়েছিল সব দিকেখাবার, পানি থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি। আর সবচেয়ে বড় ভেজাল ছিল তাদের শিক্ষায়। অথচ শিক্ষার ভেজাল ওরা সবাই জানত, তার পরেও ভেজাল সারানোর জন্য তেমন কিছুই করেনি। সবাই চাইত শুধু নিজের সুবিধাটা! নানান ভেজালে মানুষের চিন্তায়ও ভেজাল চলে এসেছিল। 

বলতে গেলে সে দেশের মানুষের ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। নিজেরা পেলেই খুশি থাকত, তখন ওরা ন্যায়-অন্যায় হিসাব করত না। কিন্তু না পেলেই ওরা অখুশি হতো, না পাওয়াটাকেই ভাবত একমাত্র অন্যায়। কখনো কারোর অন্যায় ধরা পড়লে বাকিরা ভীষণ হইচই করত। কিন্তু নিজেদের অন্যায় ঢেকে রাখার জন্য সবই করত। আর এমন নয় যে একজন মানুষ সব অন্যায় একা নিজেই করছে। এটা অনেকটাই একটি চেইনের মতো, একজন একটু অন্যায় করেছে, পরের জন এর সঙ্গে আরো একটু যোগ করেছে, এভাবেই শেষে গিয়ে বড় একটি অন্যায় দাঁড়িয়ে গেছে। খাবারসহ অন্য জিনিসের ভেজালের ক্ষেত্রেও সেই একই রকম চেইন, অল্প অল্প ভেজালেই শেষে অনেক বড় একটি ভেজাল। এককভাবে কেউই দায়ী ছিল না, হয়তো সমষ্টিগতভাবে সবাই সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত ছিল। 

সে দেশের মানুষের ভাবনায়ও ভেজাল ঢুকে পড়েছিল। ওরা ভাবত ওরাই শুধু মানুষ এবং ওদের ওপরে যারা আছে তারাও মানুষ। ওদের চেয়ে নিচু যারা, তাদেরকে কখনই মানুষ ভাবতে চাইত না। এই উঁচু-নিচু ভাগটা ওরা করেছিল শুধু অর্থ আর ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। অথচ তখনকার দিনে সবার হাতেই ছিল টাকা, বলতে গেলে অনেক অনেক টাকা, কিন্তু কারোর জীবনেই তেমন স্বস্তি ছিল না, অথচ সব সুবিধাই ওদের হাতের নাগালেই ছিল। কিছু মানুষের হাতে এত টাকা ছিল যে ওরা কখনো হিসাব করে কুলিয়ে উঠতে পারত না যে এত টাকা কীভাবে ওদের হাতে এল, কারণ কোনো যুক্তি-বুদ্ধির সহজ উপায়ে এই টাকা উপার্জন করা হয়নি।

তখনকার দিনে সে দেশটির মানুষের কথায় নানান মিথ্যা থাকত, ওদের কাগজপত্রে মিথ্যা থাকত, ওদের কাজকর্মেও অনেক মিথ্যা থাকত। ওরা চাইত কোনোভাবে কাজটা করেই কীভাবে শুধু টাকা আর সম্পদ দখল করা যায়। তখনকার দিনে সাধারণ মানুষের অধিকার বলে কিছু ছিল না। সবকিছু চলে গিয়েছিল বিত্তবানের হাতে। মানুষ এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে ওরা নিজের ভাইবোনের অধিকারও কেড়ে নিতে চাইত।

সবচেয়ে বড় বিপর্যয় নেমে এসেছিল ওদের নিজেদের সন্তানের বেলায়। ওরা ভাবত এই সন্তান শুধু ওদের। এই সন্তানের জন্যও ওরা নানান অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত। ওদেরকেই শুধু ভালোটা পেতে হবে, ভালোটা খেতে হবে, কিন্তু অন্যদের কী হচ্ছে, ওদিকে তাকাত না। ফলে ওদের নিজের সন্তানরাও আসলে ভালো কিছু পেত না। সেই মিথ্যার শিক্ষার সঙ্গে ভেজাল খাবারে ওদের চিন্তায়ও দূষণ ঢুকে পড়েছিল।

মোটা দাগে নারী বা পুরুষের কারোরই সম্মান ছিল না। নারী পুরুষ অর্থের জন্য সবই করতে পারত। নারী পুরুষ ঘিরে অনেক অনেক অন্যায় চলত। যার সবকিছুই প্রায় সাধারণের হাতের নাগালে চলে এসেছিল। খাদ্যের ভেজালের মতো মানুষের সম্পর্কেও চলে এসেছিল নানান ভেজাল। মানুষ হয়ে পড়েছিল ভীষণ স্বার্থপর! কিন্তু স্বার্থটা ছিল শুধু অর্থের আর ক্ষমতার! ওরা এতটাই বিভ্রান্ত ছিল যে নিজের যথার্থ যত্নটাও নিতে পারত না।

হয়তো এসব কারণেই ওদের জন্য নেমে এসেছিল বড় বড় দুর্যোগ, যেন ওরা বুঝতে পারে, সঠিক পথে চলতে পারে, সবার অধিকার বুঝে আবার যেন মানুষ হয়ে উঠতে পারে। ঝড়-সাইক্লোন নয়, খুব ছোট ছোট জিনিস নিয়েই ওদের জীবনে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। একবার একটা দুর্যোগ এসেছিল মশা দিয়ে, ছোট্ট একটা মশা দিয়ে। তখনো ওরা ঠিকভাবে ভাবতে পারেনি। ওরা মিথ্যা আর কথার মারপ্যাঁচ দিয়েই সবকিছু ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। নিজের অসুস্থ সন্তান নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটেছে একটি সিটের জন্য। কিন্তু পায়নি। বড় একটি আতঙ্ক চলে এসেছিল সে দেশের ঘনবসতির এক শহরে। কিন্তু সেই আতঙ্ক থেকেও ওরা শিক্ষা নিতে পারেনি।

এরপর আরো বড় একটি দুর্যোগ আসে, অনেক বড় একটি দুর্যোগ, যা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীজুড়ে। এই দুর্যোগের পেছনে ছিল সামান্য একটি ভাইরাস, এটা এত ছোট যে সাধারণ চোখে দেখা দূরে থাক, অনুমানও করা যায় না। অথচ মশার বেলায় অন্তত মশাকে চোখে দেখা যেত। এই ভাইরাসের দুর্যোগে সুন্দর কয়েকটি বার্তা ছিলহাত পরিষ্কার রাখতে হবে, নিজে ভালো থাকতে গেলে অন্যকেও ভালো রাখতে হবে। কিন্তু তখনো মানুষ দুর্যোগ থেকে কোনো শিক্ষা নিতে পারেনি। বিপদে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, নতুনভাবে মানবতার উন্মেষ ঘটার কথা; দুর্যোগের কাজই হলো জঞ্জালে আবর্তিত মানুষকে আবার বিশুদ্ধ মানুষে পরিণত করা। তখন চোখে পড়ার মতো এসব কিছুই ঘটেনি। হয়তো ছোট্ট পরিসরে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, হয়তো কিছু ক্ষেত্রে মানবতারও উন্মেষ হয়েছে। কিন্তু চোখে পড়েছে তখনো মানুষ মানুষের কাছ থেকে অন্যায় সুযোগ নিয়েছে। পরিষ্কার রাখার নামে, চিকিৎসার নামে তখনো কিছু মানুষ শুধু অর্থের পেছনেই ছুটেছে। ওরা যেভাবে পেরেছে দাঁও মেরেছে। একটি ঘনবসতি শহরের মানুষ এই ভাইরাস নিয়েও নানান ব্যবসা ফেঁদে বসে। পরীক্ষা না করেই পরীক্ষার নামে মানুষ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই করে ওরা নিজেদের সম্মান যেমন নষ্ট করত, তেমনি বহির্বিশ্বে নিজের দেশের সম্মান নষ্ট করত। এর সঙ্গে জড়িত থাকত ছোট-বড় অনেক মানুষ।   

আচ্ছা তখনকার দিনের সব মানুষই কি রকম ছিল! না, একটা সময়ের সব মানুষই রকম হতে পারে না। বেশির ভাগ মানুষই থাকে নিরীহ এবং নীরব, ওরা কোনোভাবে জীবনটা পার করে দিতে চায়। একটি ছোট অংশ থাকে, যারা সময়কে এড়িয়ে গিয়ে মানুষের অধিকারের তোয়াক্কা না করে শুধু নিজেরাই পেতে চায়। এই অংশে যেই চলে আসে, তাদের মাথাতেই যেন একটিই চিন্তা, তাকে পেতে হবে। এটা ধরা পড়ে নীরব থাকা বড় অংশটির চোখে। তখন ওরা বড় হওয়া বলতে পাওয়াকেই বুঝে, আর ওরা আঁকড়ে ধরে একটি কথাপ্রাপ্তিই ন্যায় আর অপ্রাপ্তিই অন্যায়! ওরা নানান ফন্দিফিকির করে বড় বড় মানুষের কাছে চলে যেত। বড় মানুষদের সাত-পাঁচ বুঝিয়ে নানান কিছু করে বেড়াত। ওদের সঙ্গে লেখাপড়া জানা মানুষও থাকত। লেখাপড়া জানা মানুষগুলো হয়ে যেত ওদের ক্রীড়নক! অল্প কিছু সুবিধাবাদী মানুষ যেভাবে চাইত, ওদের সঙ্গে থাকা লেখাপড়া মানুষগুলো সেভাবেই চলত। তা না হলে লেখাপড়া জানা মানুষগুলো বেশি সুবিধা পাবে কী করে? তখন যেন লেখাপড়ার একটিই অর্থ ছিল, সুবিধা, তাদেরকে সুবিধা পেতে হবে।  

সত্যিই তখনকার দিনের মানুষগুলো ছিল বড় দুর্ভাগা। দুর্যোগের নামে কত বড় বড় বার্তা এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেনি। ওরা যদি শুধু বুঝতে পারত, হাত পরিষ্কার রাখতে গেলে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে, সঙ্গে চিন্তাও পরিষ্কার রাখতে হবে, তাহলেই ওরা অনেক দূর যেতে পারত, সম্মানের সঙ্গে, নিজের এবং অন্যের অধিকার সমুন্নত করতে পারত। কিন্তু ওরা বুঝতে পারেনি। ওরা বোঝেনি সবকিছুর মূলেই শিক্ষা। শিক্ষা মানে বই পড়া নয়। শিক্ষা মানে একটি প্রক্রিয়া, যা দিয়ে জীবন থেকে ধাপে ধাপে মিথ্যা দূর করা যায়; যা দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখা যায়; ঘরবাড়ি, রাস্তা, আঙিনা, পরিবেশ এমনকি প্রকৃতিও পরিষ্কার রাখা যায়। শিক্ষা একটি বোধের নাম, যা থাকলে মানুষ ভারসাম্যপূর্ণ একটি জীবন গড়ে তুলতে পারে তাই শিক্ষা। এই ভারসাম্য হতে হয় প্রকৃতির সঙ্গে, কেননা প্রকৃতির সঙ্গে সারাক্ষণই মানুষের লেনদেন চলছে।

শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া, যার ভেতর দিয়ে গেলে মানুষ বুঝত সে একটি পরিবারের অংশ, সমাজের অংশ, সর্বোপরি প্রকৃতির অংশ। এতে তার নিজের প্রতি যেমন দায় থাকে, তেমনি দায় থাকে সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি এবং প্রকৃতির প্রতি। শিক্ষা মানে হলো সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা, প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য গড়ে তোলা, যে সন্তানদের জীবনে মিথ্যা থাকবে না, ভান থাকবে না, কেননা প্রকৃতি মিথ্যা বা ভান কোনোটাই বুঝে না। যে বার্তা তখনকার দিনের মানুষ পেয়েছিল সামান্য ভাইরাসের আক্রমণ থেকে। অথচ সেই সহজ বার্তাটা তখনকার দিনের মানুষ কাজে লাগাতে পারেনি। ওরা নদী থেকে সুবিধা নিত, কিন্তু নদীর যত্ন নিত না; ওরা মাটি থেকে ফসল ফলাত, অথচ ভালো করে মাটির যত্ন নিত না; ওরা বাতাস থেকে নিঃশ্বাস নিত, কিন্তু বাতাসেরও যত্ন নিত না। সেজন্য ওরা ভুগেছে, প্রতিটি মানুষ নানানভাবে ভুগেছে, এমনকি চিন্তায়ও ভুগেছে। কিন্তু তাদের বোধোদয় হয়নি। ওরা অনেক লেখাপড়া করলেও প্রকৃতির প্রতি ছিল ভীষণ উদাসীন। সেজন্যই ওরা ছিল সত্যিকারের দুর্ভাগা, কারণ এই কথাগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরবে, এমন মানুষ ওদের ছিল না, যে দু-একজন যাও-বা ছিল, ওদের কথা সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারত না। ঠিক এমনই একটি দুঃসহ অবস্থা এসেছিল পৃথিবীর কোনো একটি দেশে, অনেক অনেক আগে, যখন ঘনবসতির শহরে বেশি বৃষ্টি হলেই ময়লা পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ত, শিক্ষা, চিকিৎসাজীবনের সঙ্গে যুক্ত এমন সবকিছু নিয়েই নানান ধরনের ব্যবসার গন্ধ পাওয়া যেত এবং সহজে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে পারত না।

 

. মোহাম্মদ আসাদ উজ জামান: সহযোগী অধ্যাপক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন