কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দীর ‘পালিয়ে যাওয়ার’ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার তিন সদস্যের এই কমিটি কাজ শুরু করেছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্দী পলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কর্তব্যরতদের দায়িত্বে গাফিলতি ছিলো কি না জানতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ডিআইজি প্রিজন্স, একজন সিনিয়র জেল সুপার ও একজন জেলার রয়েছেন।
কারা সূত্র জানায়, আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই কয়েদি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্য কয়েদিদের লকআপের পর সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালেও ওই কয়েদি একবার কারাগার চত্বরে পালিয়ে ছিলেন। পরে কারাগারের ভেতরে এক সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তাকে বের করা হয়।
উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসমলাম জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই বন্দীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এরআগে, ২০১১ সালের ১৫ জুন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কশিমপুরে আনা হয় আবু বকর সিদ্দিককে। তার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। বাবার নাম তেছের আলী গাইন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।