সিলেটে বোমাসদৃশ বস্তু নিয়ে তোলপাড়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সিলেট

সিলেটে মোটরসাইকেলের মধ্যে বোমাসদৃশ একটি বস্তু নিয়ে দিনভর তোলপাড় চলে। র্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনীর প্রায় ২২ ঘণ্টার একটি যৌথ অভিযান শেষে জানা গেছে, সন্দেহজন যন্ত্রটি বিস্ফোরক কিছু নয়, একটি গ্লান্ডার মেশিন (টাইলস কাটার যন্ত্র)

গতকাল বিকাল ৪টায় ২২ ঘণ্টার অভিযান শেষে এমনটি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের নেতা লে. কর্নেল রাহাত।

এর আগে গত সন্ধ্যার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায় পুলিশ। ওই মোটরসাইকেলটি সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর।

বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া সম্পর্কে সার্জেন্ট চয়ন নাইডু বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমি চৌহাট্টা মোড়ে মোটরসাইকেল রেখে চশমা কিনতে পাশের একটি দোকানে প্রবেশ করি। দোকান থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে উঠতে গিয়ে পা রাখার স্থানে ড্রিল মেশিনের মতো বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।

চয়ন নাইডুর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। এরপর র্যাব--এর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলও ঘটনাস্থলে আসে। তবে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল বোমাসদৃশ বস্তুটি অপসারণে রাজি না হওয়ায় ঢাকায় পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে খবর দেয়া হয়। রাতভর ওই জায়গা ঘিরে রাখেন পুলিশ র্যাবের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। তারা বস্তুটির উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেল থেকে ওই বস্তু অপসারণ করেন সেনা সদস্যরা। এরপর কিছুক্ষণ তা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়।

লে. কর্নেল রাহাত জানান, অপসারণ করা বস্তুটি একটি টাইলস কাটার যন্ত্র। কোনো বিস্ফোরক নয়। সিলেট মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, কে ওই যন্ত্রটি পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে রেখে গেছে তা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন