বিশ্বব্যাপী
পেশাদার আলোকচিত্রীদের
একত্রিত করার
একটি বড়
প্লাটফর্ম ‘জুপ
সোয়ারট মাস্টারক্লাস’ (Joop
Swart Masterclass) প্লাটফর্মটি
১৯৯৪ সালে
প্রতিষ্ঠিত হয়।
এরপর থেকে
প্লাটফর্মটি ডকুমেন্টরি
ফটোগ্রাফি, ভিজুয়াল
জার্নালিজম ও
ভিজুয়ালি গল্প
বলার ক্ষেত্রে
আলোকচিত্রীদের উদ্বুদ্ধ
করে আসছে।
আন্তর্জাতিক এ
প্লাটফর্মে দেশীয়
আলোকচিত্রীদের অংশগ্রহণও
উল্লেখযোগ্য। এ
বছর তৃতীয়বারের
মতো পাঠশালা
সাউথ এশিয়ান
মিডিয়া ইনস্টিটিউট
থেকে একজন
আলোকচিত্রীকে জুপ
সোয়ারট মাস্টারক্লাসের
জন্য নির্বাচন
করা হয়েছে।
এর আগে
২০১৮ সালে
নির্বাচিত হন
আশফিকা রহমান,
যিনি প্রথম
বাংলাদেশী নারী
হিসেবে আন্তজার্তিক
এ প্রোগ্রামে
অংশ নিয়েছিলেন।
এর পরের
বছর শাহরিয়া
শারমিন নির্বাচিত
হন। এ
বছর আলোকচিত্রী
সালমা
আবেদীন পৃথী নির্বাচিত
হয়েছেন। সম্প্রতি
তিনি তার
এ অর্জন
নিয়ে টকিজের
সঙ্গে কথা
বলেছেন। সাক্ষাত্কার
নিয়েছেন রাইসা জান্নাত
‘জুপ সোয়ারট মাস্টারক্লাস’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। শুরুতেই অর্জনটি নিয়ে আপনার অনুভূতির কথা জানতে চাই।
আমি খুবই অবাক হয়েছি। মাস্টারক্লাসে জয়েন করব ভাবিনি কখনো। আমি যে ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করি, মাস্টারক্লাসে সে ধরনের কাজের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে এটা আমার চিন্তার বাইরে ছিল।
জুপ সোয়ারট মাস্টারক্লাসে অংশগ্রহণের খবরটি যে সময় পেয়েছিলেন, তখন আপনি কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন। এখন কেমন আছেন?
এখন ভালো আছি। কিন্তু এক মাস বেশকিছু ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছি। কিছু নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। নিজের মধ্যে হয়তো কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে।
এক মাস আপনি যে অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্য দিয়ে গেছেন, সেগুলোর প্রতিফলন কি আপনার পরবর্তী কাজে ঘটতে পারে?
আমি তা-ই মনে করছি। সচেতন কিংবা অচেতন—যেকোনোভাবেই এগুলো কাজের মধ্যে অনেকখানি প্রভাব ফেলবে। মাস্টারক্লাসের জন্য কয়েকটি বডি অব ওয়ার্ক করতে হবে। নিশ্চয়ই কিছু মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসতে পারে। আগে একভাবে ভাবতাম। এখন ভাবনাটা অন্যরকম হবে।
মাস্টারক্লাসের জন্য কী থিম নিয়ে কাজ করবেন বলে ভেবেছেন?
মাস্টারক্লাসের আগে থেকেই আমি করোনার এ সময়ের কিছু ঘটনা, রিপোর্ট সংগ্রহ করছিলাম বিষয়গুলো নিয়ে কাজের ইচ্ছা থেকে। মাস্টারক্লাসের জন্য কভিড-১৯ সম্পর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করব বলে ভাবছি। অক্টোবরে সাবমিশন। খুব বেশি সময় নেই। কভিডের জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে যাবে। বাসায় স্টুডিও বানিয়ে সেখানে কাজ করতে হবে।
আপনার এই অর্জন আগামীতে ভিজুয়াল আর্টে নারীদের কতখানি অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন?
পেশাটি নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা আছে। নারীদের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাটা একটু বেশি। ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। তো আমার এই অর্জন ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছি। তাছাড়া এখন কিন্তু অনেক নারী ফটোগ্রাফার কাজ করছেন এবং সাফল্য অর্জন করছেন।
আগামীতে ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনার কী ধরনের কাজের পরিকল্পনা রয়েছে?
লকডাউন শুরুর পর আমি কিছু ছেলেমেয়েকে ফটোগ্রাফি শিখিয়েছিলাম। তারপর তাদের অনলাইনে একটি কোর্স করাই। পুরান ঢাকায় একটা প্রদর্শনী করব। এ ধরনের ওয়ার্কশপ করাতে আমার খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কাজ করা অনেক অনুপ্রেরণার, আনন্দদায়ক। ভবিষ্যতে এ রকম ছোট ছোট গ্রুপ নিয়ে কাজ বা প্রদর্শনীর ইচ্ছা