কভিড-১৯

শনাক্তের তালিকায় ১৫-তে উঠে এল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো হাজার ৯৭৭ জন কভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এতে শনাক্তের সংখ্যায় ইতালিকে পেছনে ফেলে তালিকার ১৫তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

শনাক্তের তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে ১৪তম অবস্থানে আছে পাকিস্তান। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ৮১ হাজার ৮৬৩। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি এখন লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের শনাক্ত রোগী সংখ্যায় ব্যবধান ৩২ হাজার ২১২। ওদিকে পেছনে ফেলা ইতালি থেকে বাংলাদেশে রোগী সংখ্যা ৮৪৮ জন বেশি।

তবে মৃত্যুর হিসাবে এই তিন দেশের মধ্যে বেশ ব্যবধান আছে। পাকিস্তানে এখন অব্দি মৃত্যু হয়েছে হাজার ৩৫ জনের। যা বাংলাদেশের তুলনায় হাজার ৭২৯ জন বেশি। অবশ্য ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুই দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। সংক্রমণে ১৬তম অবস্থানে থাকলেও ইউরোপের এই দেশটিতে মারা গেছে ৩৫ হাজার ১৮১ জন। বাংলাদেশের চেয়ে ৩১ হাজার ৮৭৫ জন বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, সবশেষ দিনে দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন। নিয়ে নভেল করোনাভাইরাসে পর্যন্ত হাজার ৩০৬ জন মারা গেছেন। গতকাল বেলা আড়াইটায় কভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তথ্য জানান জাতীয় প্রতিষেধক সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ। 

তিনি বলেন, সর্বশেষ দিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৯টি। এদিন পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৮টি নমুনা। আর এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪টি। এদিকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার দশমিক ৩২ শতাংশ। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ সাতজন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ হাজার ৬০৬ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৭০০ জন। আর সর্বশেষ দিন মৃত্যুবরণকারীদের ৩০ জন হাসপাতালে এবং জন বাড়িতে মারা গেছেন।

নিপসম পরিচালক আরো জানান, নতুন করে আরো ৯৫৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ১৮ হাজার ৬৭৪ জন। সর্বশেষ আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছে ৭৩৬ জন। এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিন মিলে আরো হাজার ৩৯৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে লাখ ৪৬ হাজার ৭৮ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছে মোট ৫২ হাজার ৮৩০ জন।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন