স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে তলব করা হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৃথকভাবে দুটি নোটিস গতকাল পাঠানো হয়েছে। দুই নোটিসে তাকে দুদিন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক নোটিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আলাদা পত্রের মাধ্যমে তাকে ১৩ আগস্ট তলব করেছেন।

কভিড-১৯ রোগীদের সেবায় জড়িত চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আবুল কালাম আজাদকে ১২ আগস্ট কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীনের পাঠানো তলবি নোটিসে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্পূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে আপনার বক্তব্য শ্রবণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির বিষয়ে অনুসন্ধানের নেতৃত্বে থাকা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার স্বাক্ষরে অন্য নোটিসটি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিকে। সেই নোটিসে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (আবুল কালাম আজাদ) ১৩ আগস্ট কমিশনের কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

একই ঘটনায় শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত অন্য এক পত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকেও ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানা কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দেন ডা. আজাদ। চিকিৎসকদের নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচিত হতে থাকেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরুর পর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হওয়া চুক্তির নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক। আর নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞসাবাদ করেছে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন