করোনা মহামারীর সময় অন্যান্য অনেক পণ্যের মতো কফির বাজারও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এর পরও চলতি বছরের শেষ নাগাদ পানীয় পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি বর্তমানের তুলনায় বাড়তে পারে। অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা—দুই ধরনের কফির দাম থাকতে পারে বাড়তির দিকে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের একটি জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের জরিপে বৈশ্বিক কফি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়জন ট্রেডার ও বিশ্লেষক অংশ নিয়েছেন। তাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফির সম্ভাব্য দাম দাঁড়াতে পারে ১ ডলার ২০ সেন্টে। গত সপ্তাহের গড় দামের তুলনায় বছর শেষে অ্যারাবিকা কফির সম্ভাব্য এ দাম দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
একই চিত্র দেখা যেতে পারে রোবাস্তা কফির দামেও। বছরের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন রোবাস্তা কফির সম্ভাব্য দাম দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ৩৯০ টনে, যা সর্বশেষ সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।
করোনাকালে দেশে দেশে কফি শপগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কিংবা এখনো বন্ধ রয়েছে। টানা লকডাউন চলমান থাকায় বিভিন্ন দেশের বেশির ভাগ মানুষ বাসায় থেকে অফিস করেছেন। ফলে কফি শপ কিংবা অফিসগুলোয় পানীয় পণ্যটির চাহিদায় বড় পতন দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা কফির বাজারেও।
এখন বিভিন্ন দেশে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে কিংবা শিথিল হয়েছে। খুলতে শুরু করেছে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কফি শপ। মানুষের অফিসে যাতায়াত আগের তুলনায় বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে কফির চাহিদাও রয়েছে বাড়তির দিকে। এ পরিস্থিতি পানীয় পণ্যটির দাম বর্তমানের তুলনায় বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
দাম বাড়লেও ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে কফির সরবরাহ উদ্বৃত্ত বেড়ে ৫০ লাখ ব্যাগে (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) উন্নীত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে রোবাস্তার তুলনায় অ্যারাবিকা কফির সরবরাহ উদ্বৃত্ত বেশি থাকতে পারে।