স্বাস্থ্যকর্মীদের হোটেল সুবিধা বাতিলের পরিপত্র বাতিল চায় বিএমএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীর শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে অসংখ্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ও অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অবাক ও বিস্মিত করেছে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম বর্হিভুত এ ধরনের আদেশে দেশে সব চিকিৎসক ক্ষুব্ধ। এসব বিষয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অবিলম্বে প্রত্যাখ্যান ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। 

গতকাল বুধবার ( ৫ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে সংগঠনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তারা এসব দাবি জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, করোনার শুরুতে গত মার্চ মাস থেকে এদেশের চিকিৎসকগণ জাতীয় দুর্যোগ মহামারিতে নিজেদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। কিন্তু যখনই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে চলে তখনই আপনার মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) কিছু আকস্মিক ও অবৈজ্ঞানিক আদেশ, পরিপত্র ও নির্দেশনা গোটা পরিস্থিতিকে অস্থির করে তোলে এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল অত্যন্ত সুকৌশলে চিকিৎসকদের জনগণ কিংবা সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রটি অবাক ও বিস্মিত করেছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অথবা চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম বহির্ভূত এধরনের আদেশে দেশের সকল চিকিৎসক ক্ষুব্ধ। 

চিঠিতে তারা লিখেছেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের অনেক ভুলের কারণে এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার চিকিৎসক করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৭০ জন চিকিৎসকের। তারপরও তাদের  করোনাকালীন সময়ের কর্মঘন্টা ও কোয়ারেন্টিন থাকার অবৈজ্ঞানিক পরিপত্রটি প্রত্যাখ্যান ও তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।  

এজন্য দ্রুত চিকিৎসকদের একমাত্র জাতীয় সংগঠন বিএমএ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি বিজ্ঞানসম্মত উপায় বের করা কোন সমস্যা নয়। 

চিঠিতে বলা হয়, আমরা এখানে মনে করিয়ে দিতে চাই, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কোন বিশেষ তারকা চিহ্নিত হোটেল, কোন ভাতা, কিংবা কোন বিশেষ খাবার চিকিৎসকদের চাওয়া ছিলো না। অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের কারনে আর কোন চিকিৎসকের সংক্রমণ অথবা মৃত্যু কিংবা একারণে তাদের পরিবারের কোন সদস্যের সংক্রমণ অথবা মৃত্যুর কারণ যেন না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন