বাংলাদেশকে কভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে ৩৫ বিলিয়ন ইয়েন বা ৩৩০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৩ কোটি ডলার ওডিএ ঋণ দেবে জাপান। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মধ্যে একটি নোট সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন ইআরডির সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাপানের পক্ষে সই করেন দেশটির ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ইতো নোয়াকি। গতকাল জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে এ ঋণ বাংলাদেশকে দেয়া হচ্ছে। ১১ বছরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধের সময় পাবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আরো চার বছর অতিরিক্ত সময় পাবে ঋণ পরিশোধের। এ ঋণ জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার মাধ্যমে দেয়া হবে। এ ঋণ যৌথভাবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) দেবে, যাতে করোনা মোকাবেলায় এর দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশের কভিড-১৯ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত জাপান সরকার ১৩ মিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা দিয়েছে। সেই সঙ্গে জাইকার মাধ্যমে হাসপাতালগুলোয় পিপিই দিয়েছে দেশটি। এছাড়া গত ১৬ জুলাই ‘অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প’
বিষয়ক আরো একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও জাপান। এর মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন ডলারের মেডিকেল সরঞ্জাম, সিটি স্ক্যানার, এক্স-রে মেশিন ইত্যাদি ক্রয় করা হবে। এ সহযোগিতা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলমান স্বাস্থ্য খাতের চাহিদাকে বিবেচনা করে দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থায়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজে আরো প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জোগান দেয়া। আর প্রকল্প ঋণগুলো খুবই সহজ শর্তের। এখানে শুধু একটিই শর্ত থাকে, যাতে এ অর্থ কোনো সামরিক কাজে ব্যবহার না করা হয়।