৯ বছরের সর্বনিম্নে ভারতে জ্বালানি তেল আমদানি

ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের তৃতীয় শীর্ষ ভোক্তা দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ আমদানি করা জ্বালানি তেল দিয়ে পূরণ করে দেশটি। জ্বালানি পণ্যটির আমদানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায়ও ভারত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের জুনে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি রেকর্ড পরিমাণ কমে প্রায়

নয় বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। মূলত নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে টানা লকডাউন ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি শ্লথ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

দেশটির সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভারতীয় পরিশোধন কেন্দ্রগুলো প্রতিদিন গড়ে ৩২ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। গত মে মাসের তুলনায় জুনে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কমেছে দশমিক শতাংশ। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত মাসে ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ২৮ দশমিক শতাংশ কমে গেছে। ২০১১ সালের অক্টোবরের পর ভারতের বাজারে এটাই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সর্বনিম্ন মাসভিত্তিক আমদানির রেকর্ড।

সময় ভারতের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে দুটি অর্ভতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। প্রথমত, দীর্ঘদিন পর ভারতের বাজারে সৌদি আরবকে হটিয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ রফতানিকারক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ইরাক। দ্বিতীয়ত, ২০০৯ সালের জুনের পর থেকে গত মাসে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আমদানিকারকরা ভেনিজুয়েলা থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে টানা লকডাউন ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমিয়ে দিয়ে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম তুলনামূলক কম থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় আমদানিকারকদের মধ্যে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়নি। এর পেছনে অবশ্য মজুদ রাখার স্থান সংকুলান প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন