দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি রাজবাড়ী

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গতকাল সকাল থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া পাটুরিয়ায় চাপ বেড়েছে কর্মস্থলমুখী মানুষের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের জনস্রোত।

এদিকে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী চালকরা। এছাড়া ফেরি লঞ্চে কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। অনেকটা হুড়োহুড়ি করে যে যার মতো করেই ছুটছেন কর্মস্থলে। সড়কে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল প্রাইভেট কারের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিন দেখা যায়, কর্মস্থলমুখী মানুষের বাড়তি চাপের কারণে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ৩০০ যাত্রীবাহী বাস, ফেরিঘাট থেকে বাইপাস সড়কে অন্তত ২০০ ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার মাইক্রোবাস ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে আরো অন্তত ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক। প্রতিটি যানবাহনকে ফেরির নাগাল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ঘাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসন কাজ করলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকেই। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে গতকাল বেলা ৪টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে দুটি বাসের চালককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ঘাটে আমাদের টিম কাজ করছে কিন্তু ফেরিতে উঠে যাওয়ার পর আর কেউ নিয়মের তোয়াক্কা করছে না।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, নৌ রুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। পদ্মায় প্রবল স্রোতে পারাপার কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটের বাড়তি কিছু যানবাহন আমাদের পার করতে হচ্ছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় লম্বা সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি পর্যায়ক্রমে সবাইকে পার করে দিতে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন