হুয়াওয়ে ‘বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২০’-এ বক্তারা

টেলিকমে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর সংকটকালে টেলিকম ক্যারিয়ারদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর চারটি মূল বিষয় এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নে মনোযোগী হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্ভাবনা ভূমিকা নিয়ে হুয়াওয়ে আয়োজিত বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট-২০২০- এমন মন্তব্য করেন টেলিযোগাযোগ অন্যান্য খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

হুয়াওয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সামিটে বাণিজ্যিক সাফল্যে লক্ষাধিক ফাইভজি বেজ স্টেশন স্থাপনের কার্যকরী উপায়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। এছাড়া সম্মেলনের দ্বিতীয় তৃতীয় দিন হুয়াওয়ের বক্তারা ক্যারিয়ারগুলোর একসঙ্গে কাজের সুযোগ, নেটওয়ার্ক সম্ভাবনার চারটি মূল বিষয় এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।

সম্মেলনে দ্বিতীয় দিনে মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন হুয়াওয়ের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যারিয়ার বিভাগের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং এবং তৃতীয় দিন মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ক্যাথেরিন চেন। সম্মেলনে অন্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন রেডিও কমিউনিকেশন সেক্টর (আইটিইউ-আর), গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস (জিএসএমএ), ইউরোপিয়ান কম্পিটিটিভ টেলিকমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (ইসিটিএ), সাউথ আফ্রিকান ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজিস, থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি কমিশন, চীনের একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (সিএআইসিটি), জার্মানি অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রি (ইসিও) এবং এডিএলের প্রতিনিধিরা। সামিটে অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশ থেকে সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

রায়ান ডিং বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময়ে নেটওয়ার্কের সম্ভাবনা উন্মোচনে এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ক্যারিয়ারগুলোকে নেটওয়ার্ক নির্মাণ এবং ব্যবসার উন্নয়নে কিছু মূল বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। ক্যারিয়ারগুলোকে বিদ্যমান নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিংবা আরআরইউ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে, যা তাদের বৈশ্বিক মহামারীর সময় ডাটা চাহিদা মেটাতে এবং সাইট টিসিওর সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।

রায়ান ডিং তার বক্তব্যে ক্যারিয়ারগুলোকে ভবিষ্যত্মুখী এবং লক্ষ্যনির্ভর নেটওয়ার্ক নির্মাণে জোর দিতে বলেন। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতকে ভাবতে হবে কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক ব্যক্তি, পরিবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিয়ত পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে এবং ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

ক্যাথেরিন চেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী উদ্ভূত প্রতিকূলতা শনাক্তে এবং সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন