অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রায় তিন দশক পর উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় পা রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। গতকাল দুপুরে ৪০ কেজি ওজনের একটি রুপার ইট স্থাপনের মাধ্যমে তিনি মন্দির নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। খবর বিবিসি।

বুধবার লক্ষে হয়ে অযোধ্যায় নামেন মোদি। এরপর যান হনুমানগরি মন্দিরে। সেখান থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে। তার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মোহন ভাগবত অন্য আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন।

দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। যে জমিতে মন্দিরটি নির্মিত হচ্ছে, তা নিয়ে কয়েক দশক ধরে হিন্দু মুসলমানদের বিরোধ চলে এসেছে। ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা জমিটিতে ষোড়শ শতকে তৈরি বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি, বাবরি মসজিদটি একটি রামমন্দিরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল।

জমির মালিকানা নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ শেষে গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জমিটিতে রামমন্দির নির্মাণের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন। আর মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণে অযোধ্যাতেই অন্য জায়গায় জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেন আদালত।

স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরা জানিয়েছেন, মন্দিরটি উত্তর ভারতের জনপ্রিয় নাগারা শৈলীতে নির্মিত হবে। মন্দিরের যে অংশে মূল দেবতার মূর্তি থাকবে, সেটি হবে অষ্টভুজাকৃতির। তিন তলাবিশিষ্ট মন্দিরে থাকবে ৩৬৬টি পিলার পাঁচটি গম্বুজ। মন্দিরের কাজ শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগতে পারে। মন্দিরের মূল অংশ নির্মাণেই খরচ পড়বে প্রায় ৩০০ কোটি রুপি।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রামমন্দির নির্মাণে ভারতের বিভিন্ন অংশের লাখ লাখ ভক্ত সোনা রুপার কয়েন, ইট বার পাঠিয়েছে। এসব মূল্যবান জিনিস পাহারায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দিরের জন্য কয়েক বছর ধরে ভক্তদের কাছ থেকে শ্রীরাম লেখা খোদাই করা দুই লাখ ইট সংগ্রহ করা হয়েছে। রামমন্দিরের ভিত ওই ইটগুলো দিয়ে তৈরি করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন