চাওয়ার আগেই রফতানিতে প্রণোদনা দিয়েছি: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ সময় পর রফতানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফেরার পেছনে সরকারি প্রণোদনা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। গতকাল বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, রফতানি খাতসংশ্লিষ্টরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে প্রণোদনা চাওয়ার অগেই সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। প্রণোদনার অর্থ ছাড়ে সঠিক সময়ে কার্যকর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে রফতানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। সামনের দিনে রফতানি আরো বৃদ্ধি পাবে। মহামারী পরিস্থিতিতে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে আর বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড রিজার্ভ অর্জনেও প্রণোদনা মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।

কয়েক মাস ধরে রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকার পর চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ থেকে রফতানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। জুলাইয়ে ৩৯১ কোটি লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। হিসেবে রফতানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ।

দেশের অর্থনীতিতে রফতানিকারকদের অবদানের বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান আর্থসামাজিক উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য রফতানিকারকদের প্রয়োজনগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে। মহামারী পরিস্থিতিতে যাতে রফতানিকারকদের আর্থিক বিষয়ে কোনো ধরনের বাধার মধ্যে পড়তে না হয় সে বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। তাদের প্রয়োজন দক্ষতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করেই প্রণোদনার অর্থ ছাড় করেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সব ধরনের বিষয়গুলো অবহিত করা হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেই দ্রুত রফতানিকারকদের জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলেই আজ রফতানিতে আমরা ভালো অবস্থান নিতে পেরেছি।

রফতানি খাতের অর্জন কি শুধুই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সফলতা নাকি অন্যদের অবদান আছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্য দেখার মূল দায়িত্বটি হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। নিয়মিতভাবে রফতানি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কার্যকর বৈঠক করেছে। ব্যবসায়ী রফতানির জন্য প্রয়োজনীয় করণীয় বিষয়ে জানা বোঝার চেষ্টা করেছে তারা। সেখান থেকে করণীয় বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির গতিধারা ধরে রাখতেই প্রয়োজন অনুসারে অর্থ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আরো মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখানে তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। ফলে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ এর কারণে রফতানি বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। পাশাপাশি সব সময় প্রধানমন্ত্রীর তদারকির কারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়েছে।

সামনের দিন রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আর কী পদক্ষেপ থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন সময় নতুন বাজার নতুন পণ্যের বাণিজ্যকে প্রসারিত করা। সম্ভাবনাময় বাজারগুলোতে ব্যবসা সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। আমরা এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করব। তাছাড়া সামনের দিনে বাকি প্রণোদনার প্যাকেজের অর্থ দ্রুত ছাড় করতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন