প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান ফর কভিড-১৯

স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সমন্বিত পরিকল্পনা ও গবেষণায় তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান ফর কভিড-১৯ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে এই মহামারী প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর কথা যেমন উঠে এসেছে, তেমনি সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ভাইরাস মোকাবেলায় গবেষণায় জোর দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।

কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবেদনটি নিয়মিত হালনাগাদ করে প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয় গতকাল।

প্রতিবেদনে অর্থ ব্যয়ের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে ৮১ কোটি ১২ লাখ হাজার ৬৮২ ডলারের (প্রায় হাজার ৮০০ কোটি টাকা) প্রয়োজন পড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রস্তুতি এবং সাড়া দানের পরিকল্পনার বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্য, পরিকল্পনা, কাজের ক্ষেত্রগুলো এবং অগ্রাধিকারমূলক ক্রিয়াকলাপগুলো তুলে ধরা হয়েছে।  আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (২০০৫) আওতায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ দ্রুত শনাক্ত করার ক্ষমতা দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটির মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, সুস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করা। একই সঙ্গে সংক্রমিতদের চিকিৎসার পরিকাঠামো নির্ধারণও এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য।

এটি অর্জনের জন্য বেশকিছু লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে সব সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সংক্রমণ শনাক্ত কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রোগের বিস্তার কমিয়ে আনা এবং লকডাউনের পর তা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসা। শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলাসামনের সারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং এই ভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পেশার কর্মীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এই মহামারীর প্রকোপ কমিয়ে ভয় উদ্বেগের সমাধানের জন্য তাদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে গড়ে তোলার কথা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে।

পরিকল্পনায় ১০টি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগানোর কথাও উঠে এসেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় নজরদারি এবং পরীক্ষাগারে সহায়তা, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং কমিউনিটি সংক্রমণ কমানো, প্রবেশ পয়েন্টে এবং কোয়ারেন্টিন, সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ, কভিড-১৯ কেস ম্যানেজমেন্ট, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টিবিষয়ক সেবা সরবরাহে পরিকল্পনা সমন্বয় কৌশল নির্ধারণ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বাস্তব অবস্থার তথ্য সরবরাহ, স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা গবেষণা। প্রতিবেদনে একটি আনুমানিক বাজেট এবং কাজের পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিকল্পনায় একটি আনুমানিক অর্থ ব্যয়ের হিসাবও দেয়া হয়েছে। তাতে ৮১ কোটি ১২ লাখ হাজার ৬৮২ ডলারের বাজেটও দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় দেশে যেসব ওষুধ ব্যবহূত হচ্ছে সেসবের কথাও বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন