দৌলতদিয়ায় কর্মজীবী মানুষের ভিড়, যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মস্থলগামী মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। এতে করে ঘাট এলাকার মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও ফেরি ও লঞ্চে পারাপার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যায়নি।

ঈদের আগে-পরে ৭ দিন পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর শুরু হওয়ায় এবং এক সাথে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই যানবাহন আসতে শুরু করায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানবাহনের সাড়ি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানেল ঘাট পর্যন্ত আন্তত তিন কিলোমিটার এবং ঘাটের উপর চাপ কমাতে গোয়ালন্দ মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৪ কি.মি. এলাকা জুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সিরিয়ালে নদী পাড়ের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে। তবে যানবাহনগুলোকে মহাসড়কের একপাশে সারিবদ্ধভাবে রাখায় কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এগুলোর পাশাপাশি রয়েছে শতশত ব্যক্তিগত গাড়ি। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য জরুরি যানবাহননগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাটে কর্মজীবী মানুষের ভীড় ক্রমেই বাড়ছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গন-পরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে। 

বাসযাত্রীদের কাছ থেকে সামাজিক দুরত্বের কথা বলে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও অনেক বাসেই সে দূরত্ব রক্ষা করা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে তারা যাত্রী পরিবহন করছেন। এ সকল মানুষের মধ্যে কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও কোন সামাজিক দূরত্ব রাখার সুযোগ ছিল না।

এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিকেল ৪টা থেকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ঈদের ছুটি শেষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কর্মমুখী যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য এ রুটে ছোট-বড় ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকা পড়ার ঘটনা ঘটছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আমরা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করার চেষ্টা করছি। এছারাও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চের যাত্রীদের ফেরিতে পার করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন