নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হননি এমন কিছু মানুষের ইমিউন সিস্টেমের (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) সঙ্গে প্যাথোজেনের
(রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু) মিল থাকতে পারে, যা সম্ভবত তাকে পরবর্তী সময়ে কভিড-১৯ রোগে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত স্টাডিতে দেখা যায়, জার্মানির ৬৮ জন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি, তাদের ৩৫ শতাংশের রক্তেই ‘টি’ সেলের (এক ধরনের লিম্ফোসাইট) উপস্থিতি রয়েছে, যা কিনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সক্রিয়।
‘টি’
সেল শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইমিউন সিস্টেমের অংশ এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ‘টি’ সেলের সক্রিয়তার মানে, সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের এবং নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটলে স্মৃতিকে কাজে লাগিয়ে সে লড়াই করতে পারে।
প্রশ্ন হলো, যাদের কখনই কভিড-১৯ সংক্রমণ হয়নি তাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম কীভাবে ‘টি’ সেলকে সক্রিয় করে তুলতে পারে? জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা বলছেন, হয়তো অতীতে কখনো করোনাভাইরাসের স্থানীয় পর্যায়ের সংক্রমণের সময় তারা এটি অর্জন করেছেন। আগের কোনো সংক্রমণ থেকে পাওয়া এই ‘টি’ সেল নতুন সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যবহার করাকে বলে ‘ক্রস রিঅ্যাক্টিভিটি’।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডির ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন গবেষকরা এবং কীভাবে রোগটির বিরুদ্ধে ইমিউন তৈরিতে অ্যান্টিবডি ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে কাজ করেছেন তারা। কিন্তু ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম শাফনার বললেন, ‘টি’ সেলকে উপেক্ষা করা যাবে না।
ফিলাডেলফিয়া ট্রিবিউন