ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা, নেই চিরচেনা যানজট

নিহাল হাসনাইন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনদিনের ছুটির শেষ হয়েছে। অনেকেই গতকাল রোববার রাতেই ঢাকায় ফিরেছেন। আবার অনেকেই আজ সোমবার সকালে ঢাকায় ফিরে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবারের অন্য সদস্যদের অবশ্য এখনই ফেরার তাগিদ নেই, এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরীঘাটগুলোতে। অন্যান্য বছরের মতো নেই তীব্র যানজট। সবমিলে করোনার মহামারীকালে ঈদ পরবর্তী যাত্রায় এখনো ভোগান্তির দেখা যায়নি।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার খুলছে অফিস-আদালত। খুলবে ব্যাংক-বীমা ও শেয়ারবাজারও। তাই ঈদের ছুটি শেষে অফিসপাড়ায় যোগ দিতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা মানুষের সমাগমের দৃশ্য দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকাগামীদের চাপ খানিকটা বাড়ে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি বাসে চেপে ঢাকায় ফেরা আসলাম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় গাবতলী মাজাররোডে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে কাজ করা আসলাম জানান, ভোগান্তি এড়াতে সরকারি ছুটির পর দিনেই তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। সকাল ৯টায় রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন ২টায়। রাস্তায় এবং পাটুরিয়া ফেরীঘাটে কোনো যানজটে পড়তে না হওয়ায় বেশ ভোগান্তিহীনভাবেই ঢাকায় চলে এসেছেন তিনি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে এসেছেন বাড়িতেই। পরে সুবিধাজনক সময় তাদের নিয়ে আসবেন।

শুধু সড়ক পথেই নয়, রেলপথেও এদিন যারা ফিরেছেন তারা এসেছেন ভোগান্তিহীনভাবেই। জামালপুর থেকে ট্রেনে ঢাকায় সৈয়দ রেজাউল আলম জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতেই ছুটি শেষে সকালেই তিনি রওনা হয়। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়ায় ঢাকায় ফিরতে পেরে স্বস্তির প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

এদিকে ঈদের ছুটি শেষে কিছু মানুষ ঢাকায় আসলেও অনেককেই আবার ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়ছেন। ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেককে ঢাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ঢাকার একটি সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জামাল উদ্দিনে সঙ্গে কথা হয় মহাখালী বাস টার্মিনালে। ঈদের আগে ছুটি না পাওয়ায় তিনি ঈদের ছুটির শেষ দিনে ময়মনসিংহ যাচ্ছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন