কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট: পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ঈদের ছুটি শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে  এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

আজ সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএস ভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রনোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ কাজ করছে। এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণে  সবধরনের সহায়তা করবে সরকার।

তিনি আরো বলেন, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করে বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলগুলো জরুরিভিত্তিতে পুনরায় চালু করতে কাজ করছে সরকার । অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সাথে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পুনরায় চালু এবং বিজেএমসির জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দুটি কমিটি এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

পাট মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের চাকরি অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ১ জুলাই থেকে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজুরি বাদে ওই তারিখের পর তাদের আর কোনো দাবি বা পাওনা নেই। এরই মধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা নোটিশ মেয়াদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০ দিনের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন