ঈদ জামাতে করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার কারণে বদলে যাওয়া পৃথিবী স্বাভাবিক হওয়ার সময় ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে। জীবন থেমে নেই, এরই মাঝে চলছে জীবনের নানা আয়োজন। মহামারীর মধ্যেই ত্যাগের মহিমা নিয়ে এসেছে পবিত্র ইদুল আজহা। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ঈদ উদযাপনে দেয়া নানারকম বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন হাজারো মুসল্লি।

দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়।  জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, মুকাব্বির ছিলেন ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

নামাজের অনেক আগে থেকেই মসজিদে মাইক থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। প্রবেশ পথে বসানো হয় জীবাণুনাশক স্প্রে বুথ। মুসল্লিরা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাতে অংশ নেন।

নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুটি উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা একটি। প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকে।

করোনার কারণে এবার ঈদ উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, এবারের পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত আদায় করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন