গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে এডিবির ২০ কোটি ডলার ঋণ

বণিক বার্তা ডেস্ক

বাংলাদেশে ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড (আরবিএলপিএল)।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বিদ্যুতের জাতীয় উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজনীয়তা এবং কয়লা ও তেলের মতো পরিবেশগত ক্ষতিকারক ও ব্যয়বহুল জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করবে। 

এ সহায়তা তহবিলের ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) ডলার দেবে এডিবি এবং বাকি ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এশিয়ার বেসরকারি অবকাঠামো তহবিল (এলইএপি)। এটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে এডিবি। 

অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন বিভাগের দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং পশ্চিম এশিয়ার অবকাঠামো অর্থায়নের পরিচালক শান্তনু চক্রবর্তী এবং আরবিএলপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন লোহার। এছাড়া জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এবং আরও চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বিস্তৃত ব্যবধান দূর করতে সহায়তা করবে, যা শিল্প ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন শান্তনু চক্রবর্তী। তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগকারী ও  ঋণদাতাদের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে এডিবি পরিবেশগত ও সামাজিক মানদণ্ডে সর্বোত্তম অনুশীলনকে সমন্বিত করে এবং ভবিষ্যতে একই জাতীয় বৃহৎ প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য নজির স্থাপনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রঞ্জন লোহার বলেন যে, বাংলাদেশের এ বিদুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য এডিবিসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সমর্থন পাওয়াতে আরবিএলপিএল নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে।

গত এক দশকে বাংলাদেশে বিদ্যুতের ইন্সটলড জেনারেশন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমানে বাড়লেও গৃহস্থ সরবরাহের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি খাতের বৃহত্তর বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দক্ষিণ পূর্ব ঢাকার মেঘনা নদীর তীরে স্থাপন করা হবে। এটি বিদ্যুতের জাতীয় উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজনীয়তা এবং কয়লা ও তেলের মতো পরিবেশগত ক্ষতিকারক ও ব্যয়বহুল জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করবে।

উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূলধনের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে এলইএপিটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি উচ্চমানের এবং টেকসই বেসরকারি খাতের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো যাতে কম কার্বন নিঃসরণ করে, শক্তি দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন