৪ লাখ টন চাল রফতানি কম্বোডিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) প্রায় চার লাখ টন চাল রফতানি করেছে কম্বোডিয়া। সময় দেশটিতে বার্ষিক প্রত্যাশার ৭৫ শতাংশ জমিতে ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির কৃষি, বন মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর খেমার টাইমস।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর কম্বোডিয়ার চাল রফতানিতে ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর অভ্যন্তরীণ বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে এপ্রিলের শুরুর দিকে সাময়িকভাবে পণ্যটির রফতানি বন্ধ রেখেছিল দেশটি। তবু বছরের প্রথমার্ধে দেশটি থেকে মোট লাখ ৯৭ হাজার ৬৬০ টন চাল রফতানি হয়েছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪২ শতাংশ বেশি। মহামারীতে খাদ্যনিরাপত্তার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পণ্যটির রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে। চলতি বছর শেষে মোট আট লাখ টন চাল রফতানির প্রত্যাশা করছে দেশটি।

চলতি বছর দেশটিতে ধান-চায়ের জন্য মোট বরাদ্দকৃত ২৫ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। অর্থাৎ ধান আবাদে বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ দশমিক ১৮ শতাংশ জমি ব্যবহার করেছে দেশটি।

কম্বোডিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর দেশটি প্রচুর চাল আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে। খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়াতে দেশটি সদূরপ্রসারী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে বছরে গড়ে ১০ লাখ টন চাল রফতানির প্রত্যাশা ছিল দেশটির। তবে তা পূরণ হয়ে ওঠেনি। ফলে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০২২ সাল করেছে কম্বোডিয়া।

এর মূল কারণ প্রতিকূল পরিবেশ। দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে খরা ভাব বজায় থাকায় গত বছর চাল উৎপাদন কমেছিল। তবে খরা ভাব অব্যাহত থাকার পরও বছর দেশটি ধানের ফলনে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। কম্বোডিয়ার কৃষি, বন মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটির প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে চার টনের বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন