শিরোপা পেলেও গোল্ডেন সু পাচ্ছেন না রোনালদো

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ইতালিয়ান লিগ শিরোপা জিতে নিয়েছে জুভেন্টাস। গত রোববার সাম্পদোরিয়াকে হারিয়ে টানা নবম লিগ শিরোপার উৎসব করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। যদিও বুধবার ৩৭তম রাউন্ডে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে ক্যালিয়ারির মাঠে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে ‘তুরিনের ওল্ড লেডি’রা। দলের ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হয়েছে রোনালদোর ব্যক্তিগত ব্যর্থতাও। একটি দারুণ অর্জনের হাতছানি ছিল, কিন্তু সেই রেসে তিনি অনেক পেছনে পড়ে গেলেন। এ রাতে গোল পাননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। তাতে মহানাটকীয় কিছু না ঘটলে এ মৌসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন সু’ হয়তো পাওয়া হবে না তার। 

এ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করা রোনালদোর নামের পাশে ৩১ গোল। যদিও বুধবার রাতটি ছিল হতাশার। লুকা গালিয়ানো ও জিওভানি সিমেওনের গোলে জয় পায় ক্যালিয়ারি। 

ইউরোপের ‘গোল্ডেন সু’র রেসে ল্যাজিওর সাইরো ইম্বোবিলের চেয়ে চার গোলে পিছিয়ে পড়েছেন রোনালদো। বুধবার ইম্বোবিলে করেছেন ৩৫তম গোল, এ রাতে তার দল ২-০ গোলে হারায় ব্রেসিয়াকে। 

সিরি-এ লিগে মৌসুম শেষ হতে এখনো এক ম্যাচ বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডভস্কিকে (৩৪ গোল) পেছনে ফেলে লিড নিয়েছেন ইম্বোবিলে। এছাড়া সিরি-এ লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা ছুঁতে ইম্বোবিলের প্রয়োজন মাত্র একটি গোল। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ন্যাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। 

এদিকে জুভেন্টাসের হারের পেছনে ব্যস্ত সূচিকে কারণ হিসেবে দেখছেন দলটির কোচ মাউরিজিও সারি। শনিবার রোমার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে তাদের জন্য ১২ দিনের মধ্যে পঞ্চম ম্যাচ। সূচিকে ‘বিরাট’ সমস্যা হিসেবে অভিহিত করে সারি বলেছেন, পরের ম্যাচে তিনি অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে পাঠাতে পারেন। তার কথায়, ‘এ মৌসুমে ৪০ গোল হজম করা একটু চিন্তার বিষয়, কিন্তু আজকের ম্যাচটি নিয়ে নয়। আমাদের কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে আর চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার ৬৮ ঘণ্টা পর মাঠে ফিরেছি আমরা। কাজেই এটি ছিল আমাদের জন্য একটি অস্বাভাবিক ম্যাচ। 

আমাদের আরো জমাট ফুটবল খেলা উচিত ছিল, কিন্তু আমরাই ইউরোপে একমাত্র দল যারা ১২ দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেলছি। লিগ আমাদের জন্য বিরাট সমস্যা তৈরি করেছে। দেখি কাল কী অবস্থা দাঁড়ায়। প্রয়োজন পড়লে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের জন্য রোমা ম্যাচে অনূর্ধ্ব-২৩ দলও পাঠাতে পারি।’

শিরোপা জেতা নিশ্চিত হওয়ার পরও রোনালদোকে মাঠে নামানোয় অনেকেই অবাক হয়েছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সারি জানান, খেলোয়াড়টি মাঠে নামতে ইচ্ছুক ছিল এবং তৈরিও ছিল। সারির কথায়, ‘কখনো কখনো ক্রিস্টিয়ানো ও হিগুয়াইন কিন্তু জ্বলে উঠেছিল, যদি আমাদের মানের ঘাটতি ছিল আর দল অতটা নির্মমও হতে পারেনি না। ক্রিস্টিয়ানো খুবই উদ্দীপ্ত ছিল। শারীরিকভাবে তার ভালো লাগছিল বলেই খেলতে চেয়েছে।’

শনিবার রোমার ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে মনোযোগ দিতে হবে জুভেন্টাসকে। ৭ আগস্ট শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে তারা খেলবে ফরাসি দল লিওঁর বিপক্ষে। প্রথম লেগে তুরিন জায়ান্টরা হেরে এসেছে ০-১ গোলে।  

সূত্র: বিবিসি ও গোল ডটকম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন