কভিড-১৯-এর মানসিক অভিঘাত নিয়ে সতর্ক করলেন অমিতাভ

ফিচার ডেস্ক

করোনা আক্রান্ত রোগীকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হয়। তা সে হাসপাতালে হোক কিংবা নিজের ঘরে। হাসপাতালে নার্স, চিকিৎসকরা থাকেন পিপিই পরে। তাদেরও চেহারা দেখা যায় না। পরিবারের সদস্যরাও কাছে আসতে পারেন না। সন্দেহ নেই এতে রোগীকে মানসিকভাবে কঠিন সময় পার করতে হয়। করোনার মানসিক অভিঘাত নিয়ে কথাও হচ্ছে প্রচুর। এবার ঠিক নিয়েই ব্লগ লিখলেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন।

সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন অমিতাভ। এরপর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। অন্যদিকে ছেলে অভিষেক, পুত্রবধূ ঐশ্বর্য নাতনি আরাধ্যাও আক্রান্ত কভিডে। এমন অবস্থায় অমিতাভকে থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুুষের মানসিক অবস্থাটা কেমন থাকে, তা নিয়েই ব্লগে লিখেছেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, রাতের আঁধার আর ঠাণ্ডা কক্ষের শিহরণে আমি গান গাই...ঘুমের চেষ্টায় চোখ বন্ধ... চারপাশে কেউ নেই...

বিগ বি লিখেছেন, একজন করোনা রোগী সব সুস্থ মানুষের থেকে দূরে থাকেন। হাসপাতালের আইসোলেশনে রোগীর মানসিক অবস্থা বাস্তবতায় কঠিন হয়ে ওঠে। সপ্তাহ কেটে যায়...কিন্তু সে অন্য কোনো মানুষকে দেখতে পায় না। পিপিই থাকার জন্য হাসপাতালে নার্স চিকিৎসকদেরও মুখ দেখতে পান না। চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন রোগীরা কিন্তু তাদের চোখ-মুখের অভিব্যক্তি দেখতে পারেন না। তারা বুঝতে পারছেন না চিকিৎসক, নার্সরা আদতে কে, কেমন দেখতে। কখনও কখনও একজন করোনা রোগীর মনে হয় চিকিৎসক, নার্সরা হয় তো মানুষ নন। কোনো রোবটই হয় তো চিকিৎসক কিংবা নার্স হিসেবে তাদের কাছে আসছেন। চিকিৎসক নার্সরাও সংক্রমণের আশঙ্কায় খুব বেশি সময় রোগীদের সামনে থাকেন না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসক করোনা রোগীর কাছে আসেন না। শুধু ভিডিও কলের মাধ্যমেই রোগীর দেখভাল করেন। ফলে একজন করোনা রোগী সম্পূর্ণ একা হয়ে যান। এভাবে একা থাকার ফলে অনেক করোনা রোগী মানসিক অবসাদের অন্ধকারে ডুবতে থাকেন।

পুরো পোস্টজুড়েই অমিতাভ করোনা আক্রান্ত রোগীর মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এটা যে কভিড-১৯-এর একটি বড় আঘাত, সেটাই তিনি বারবার গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন