বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিতদের জন্য ত্রাণ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার দুটি ইউনিয়নের সবচেয়ে বিপন্ন মানুষ, যারা ঘরবাড়ি হারা, ক্ষুধার্ত, আশ্রয়হীন এবং অন্য কোনো সহায়তা পাচ্ছে না তাদেরকে এ সহায়তা দেয়া হবে। মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের চলমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চলে ঘরবাড়ি বা জীবিকা হারানো পরিবারগুলোর জন্য দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা ঘোষণা করেছে।
এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত মানুষদের জন্য বহুমুখী নগদ অর্থসহায়তা। তাছাড়া এ পরিবারগুলোকে জরুরি পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সহায়তা দেয়া হবে, যা রোগজীবাণু প্রতিরোধ, বিশেষত কভিড-১৯-এর বিস্তার প্রতিরোধে অত্যাবশ্যক। নগদ অনুদান গ্রহীতারা এ অর্থ দিয়ে তাদের তাত্ক্ষণিক চাহিদা পূরণে জরুরি উপকরণ কিনতে পারবেন। ফলে দুর্যোগের মধ্যেও স্থানীয় অর্থনীতি সবল থাকবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, প্রবল বন্যায় তাত্ক্ষণিক সহায়তা প্রদান জরুরি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষকে সহায়তা দিতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিগত বহু দশকের ন্যায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
যেসব এলাকায় এ সহায়তা দেয়া হবে, সেগুলো হলো কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে বন্যায় এ দুই এলাকার মানুষই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিগত বছরগুলোয় গৃহস্থালি ও সামাজিক পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে আরো সক্ষম করে তুলতে এবং দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি জোরদার করতে ইউএসএআইডি কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। কেয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএসএআইডির সৌহার্দ্য-৩ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যাকবলিত নাজুক পরিবারগুলোকে তাদের ১ হাজার ৭৪৪টি বসতভিটাকে বন্যা সমতল থেকে উঁচু করে তৈরি করতে সহায়তা দেয়া হয়েছে।
