বাংলাদেশ ব্যাংককে বিএসইসির চিঠি

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এর সব পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকদের  জব্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসইসি। তাছাড়া কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষা করার পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্রচেঞ্জকে (ডিএসই) কোম্পানিটির বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে কোম্পানিটি গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে এ বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে বলে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠায়। অথচ এরপর কোম্পানিটির অনেক বিনিয়োগকারী কমিশনের কাছে অভিযোগ করে যে তারা লভ্যাংশ পায় নি। মূলত এ কারণেই কোম্পানিটির পরিচালকদের শেয়ার জব্দ করার পাশাপাশি বিশেষ নিরীক্ষা ও ডিএসইর মাধ্যমে পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয় কমিশন। এরই অংশহিসেবে সর্বশেষ কোম্পানি ও এর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্যও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১১ পয়সা।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন