তিনটি সাধারণ অভ্যাস থামাতে পারে করোনার বিস্তার

বণিক বার্তা ডেস্ক

মানুষজন যদি নিয়মিত হাত ধোয়, মাস্ক পরিধান করে আর একজন আরেকজনের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে- এই তিনটি সাধারণ অভ্যাসই কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবকে প্রায় থামিয়ে দিতে পারে। এমনকি ভ্যাকসিন আর বাড়তি চিকিৎসা ছাড়াই। নতুন এক গবেষণার পর এমন দাবিই করলেন গবেষকরা।

নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার উট্রেখটের গবেষকরা এ নিয়ে নতুন স্টাডি করেন, যা মঙ্গলবার (২১ জুলাই) প্রকাশিত হয় পিএলওএস মেডিসিন সাময়িকীতে। রোগটির বিস্তার কীভাবে হয়, তার ওপর নজর রাখতে ও এর প্রতিরোধ করতে তারা একটি নতুন মডেল সৃষ্টি করেছেন।

গবেষকরা বলছেন, যোগাযোগের হারটি মূলত নেদারল্যান্ডসের মানুষদের মধ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে করা হলেও মডেলটি অন্যান্য পশ্চিমা দেশের জন্য প্রযোজ্য। তারা লিখেছেন, ‘এই বিধিগুলোর কার্যক্ষমতা যদি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় তবেই একটি বড় মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব।’

মডেলটি বলছে, মানুষজন যদি ধীরে সাড়া দেন এবং পরিশেষে অভ্যাস বদলান, তবে এটি হয়তো সংক্রমণ বিস্তার কমাবে । তবে সংক্রমণের শিখরে ওঠাটা বিলম্বিত করতে পারবে না। গবেষণায় বলা হচ্ছে, সরকার যদি আগেভাগে লকডাউন কার্যকর করে কিন্তু কেউই বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা না মানেন, তবে এটি বিলম্বিত করতে পারে কিন্তু সংক্রমণের শিখরে ওঠা কমাতে পারবে না। আবার যেখানে তিন মাসের বিরতিতে শিখরে ওঠার কথা, সেটি অন্তত সাত মাস বিলম্বিত করতে পারে।

সরকার-আরোপিত শারীরিক দূরত্বের সঙ্গে যদি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও ব্যক্তিগত পদক্ষেপ যুক্ত হয় তবে মহামারীটি হয়তো অতটা শিখরে উঠবে না, তাতে সরকার-আরোপিত সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ পরবর্তীতে তুলে নিলেও।     

গবেষকরা লিখেছেন, ‘অধিকন্তু, স্ব-আরোপিত ব্যবস্থা এভাবে বাড়তি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া ব্যবহারিক জ্ঞান বলছে, যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টি রপ্ত করতে পারে, যা কিনা ২৫ শতাংশের বেশি কার্যকর, সেখানে সার্স-কভ-২ বড় রকমের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে না।’

স্ব-আরোপিত সামাজিক দূরত্ব সত্ত্বেও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, যেসব মানুষ একত্রে থাকেন তাদের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া হয়, তাতে একজনের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কাজেই ছোটখাটো প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা সব সময়ই থাকবে।

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন