আকাশই সীমানা রোনালদোর!

বণিক বার্তা ডেস্ক

ল্যাজিওকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা নবম সিরি-এ শিরোপা পথে ছুটছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। তুরিনের ওল্ড লেডিদের এই দুটি গোলই করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর মধ্য দিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সিরি-এ, লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৫০ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।

সোমবার রাতের ম্যাচে তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন রোনালদো। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করার পর পাওলো দিবালার পাসে ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পর্তুগাল জাতীয় দলের অধিনায়ক। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, যদিও তার শক্তিশালী হেডের বলটি ক্রস বারে লেগে হতাশ করে জুভেন্টাসকে। ৮৩ মিনিটে সাইরো ইম্বোবিলে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমালেও জেতাতে পারেননি ল্যাজিওকে। 

এ জয়ের পর ৩৪ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান সংহত করেছে জুভেন্টাস। দ্বিতীয় স্থানধারী ইন্টার মিলানের চেয়ে আট পয়েন্টে এগিয়ে তারা। আর মাত্র চারটি পয়েন্ট তুলে নিতে পারলেই টানা নবম স্কুদেত্তোর স্বাদ পাবে তুরিন জায়ান্টরা। 

রোনালদো ও ইম্বোবিলে যুগ্মভাবে এবার সিরি-এ লিগে সর্বোচ্চ গোলের মালিক (৩০)। জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ৩০ গোল করলেন রোনালদো, আর ইম্বোবিলে এ কৃতিত্ব দেখালেন পঞ্চম ইতালিয়ান হিসেবে। এছাড়া দুই খেলোয়াড়ই এ মৌসুমে পেনাল্টি থেকে সমান ১২টি গোল করেছেন, যা ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ল্যাজিওর জিউসেপ্পে সিনোরির গড়া রেকর্ড ছুঁয়েছে ফেলেছে।

চলতি শতাব্দীতে সিরি-এ লিগে সবচেয়ে দ্রæততম ৫০ গোল করলেন রোনালদো। এ পথে তিনি খেলেছেন ৬১ ম্যাচ। এছাড়া আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোর পর (২০০৭-০৮) জুভেন্টাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সিরি-এ লিগে সর্বোচ্চ গোলের গোল্ডেন বুট জয়ের পথেও তিনি। 

জুভেন্টাসের হয়ে দুই মৌসুমে লিগে তার গোল এখন ৫১টি। এছাড়া লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২৯২ ম্যাচে ৩১১ গোল ও প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১৯৬ ম্যাচে ৮৪ গোল করেন তিনি। রিয়ালের হয়ে ৯ বছরের অধ্যায়ে অসংখ্য রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ১৩ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির হয়ে লিগে সর্বোচ্চ ৩১১ গোলের মালিক তিনি, সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়েও ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৫০ গোলের মালিক এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে পাড়ি জমানো এই ৩৫ বছর বয়সীর কাছে রেকর্ড এখনো পদানত হয়ে চলেছে।

রোনালদো অবশ্য ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয়কেই বড় করে দেখেন। ল্যাজিওর বিপক্ষে জয় শেষে তার কথায়, ‘রেকর্ড সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দলই সবার আগে। আমরা দুর্দান্ত কাজ করছি এবং এভাবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রেকর্ড এমনিতেই আসবে। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লিগ শিরোপা জয় করা।’

তাকে নিয়ে জুভেন্টাস কোচ মাউরিজিও সারির মূল্যায়ন, ‘ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) মুগ্ধকারী এক খেলোয়াড়। দুটি ম্যাচের মাঝে খুব দ্রæতই শরীরকে তৈরি করে নেয়ার অবিশ্বাস্য সামর্থ্য আছে তার। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিক দিক থেকেও সে এক চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। যেমন শক্তিশালী পায়ে, তেমনি মাথায়ও।’

সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন   

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন