পারিবারিক ব্যবসায় ভাঙনের সুর

বদরুল আলম

দেশের বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সিংগভাগই পারিবারিক ব্যবসা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে রয়েছে একেকজন উদ্যোক্তার পরিশ্রম সাফল্যের গল্প। প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার তৈরি করা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যবসা পরিচালনা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্ম। যদিও শুরুর জন যেভাবে পরিবারে ঐক্য ধরে রাখার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন, তা পারছে না দ্বিতীয় প্রজন্ম। পরিবারের সদস্যদের মত-পথ সম্পত্তিজাত দ্বন্দ্বে পারিবারিক ব্যবসায় বেজে উঠেছে ভাঙনের সুর।

ব্যবসার কর্তৃত্ব নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে দেশের ৭৫ বছরের পুরনো একটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মীমাংসার লক্ষ্যে ব্যবসার সম্পদ মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ভাঙনের পথে তত্পরতা চললেও প্রতিষ্ঠানটির সূত্র বলছে, দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে দায়িত্বের পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। পাট ব্যবসার মাধ্যমে যাত্রা করা এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নির্মাণসামগ্রী, দুগ্ধপণ্য, পানীয়, কাগজ, এলপিজিসহ নানা খাতে ব্যবসা। প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার জীবনাবসানের পর নগদ অর্থপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি এমন একটি ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্ম। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় খাতে নতুন বিনিয়োগও করেছে তারা।

কর্ণধারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে দেশের ওষুধ শিল্পের অন্যতম একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে। ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি বস্ত্র খাত, টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনসহ নানামুখী ব্যবসা রয়েছে গ্রুপটির। শূন্য থেকে শুরু করে বড় হওয়ার পর একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার মারা গেলে উত্তরসূরিরা মিলে ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ব্যবসা। কিন্তু গ্রুপের অধীন কিছু প্রতিষ্ঠানের সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে ভাই-বোনদের মধ্যে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগই ব্যক্তি বা পারিবারিকভাবে নিয়ন্ত্রিত। ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ৮৬ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৩ দশমিক শতাংশই পারিবারিক ব্যবসা। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদন বলছে, অনেক ক্ষেত্রে শূন্য থেকে শুরু করলেও বর্তমানে আয় শতকোটি ছাড়িয়েছে এমন পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আছে বাংলাদেশের।

আইএফসির ওই প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ করা শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে কে খান, বসুন্ধরা, মেঘনা, যমুনা, স্কয়ার, টিকে গ্রুপ, আকিজ, বেক্সিমকো, ইউনাইটেড, সিটি, পিএইচপি, প্রাণ পারটেক্স গ্রুপ। বাংলাদেশে পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের যেসব উদাহরণ পাওয়া যায় তার মধ্যে অগ্রভাগে চলে আসে আকিজ গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, রহিমআফরোজ, আব্দুল মোনেম, ট্রান্সকম গ্রুপ, প্যারাডাইজ গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপ   আনোয়ার গ্রুপের নাম।

বেশির ভাগ পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসার ক্ষেত্র বাড়িয়েছে। দীর্ঘদেয়াদে ব্যবসা করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থেকে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ব্যবসার কর্তৃত্ব হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, বিবাদ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে হস্তান্তরের পর বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ফলস্বরূপ পরিবারের মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি নির্মাণ খাতের অন্যতম বৃহৎ একটি ব্যবসায়িক গ্রুপেও দ্বদ্বের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি অনেক বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণ খাত দিয়ে শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ছড়িয়েছে নানা খাতে। মূল উদ্যোক্তার প্রয়াণের পর পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন দুই ভাই।

একই ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী একটি পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়েও। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা শুরু হয়েছিল চা দিয়ে। পরে বিভিন্ন পণ্য বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে ব্যবসা এগিয়ে যেতে শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এটি। গণমাধ্যমে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ওষুধ পণ্য উৎপাদনে বিশ্ববাজারেও স্বীকৃতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠাতার প্রয়াণের পর ব্যবসার কর্তৃত্ব নিয়ে জটিলতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে উত্তরসূরিদের মধ্যে।

পারিবারিক ব্যবসার রূপান্তর নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই দেশের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এগোতে হচ্ছে। পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা, মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি, কাঁচামালের বিষয়গুলো। তবে সবকিছু ছাপিয়ে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ব্যবসার কর্তৃত্ব হস্তান্তর।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, পারিবারিক ব্যবসাগুলো পরিবারগতভাবে শুরু হয় এবং এটি খারাপ কিছু না। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যবসাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো এখনো পারিবারিক। কিন্তু সেখানে একটা সময় আসে যখন পরিবারের সদস্যদের শুধু পরিবারের সদস্য বলেই পরিচালনায় সম্পৃক্ত করা হয় না। বরং পেশাদার বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সক্ষমতা যাচাই করা হয় এবং সেই অনুযায়ী উপযুক্ত প্রমাণিত হলে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি অংশ নেয়া যায়। সেটা পর্ষদ বা নির্বাহী যে পর্যায়েই হোক। আবার পারিবারিক ব্যবসা টেকসই করতে আস্তে আস্তে পেশাদার ব্যবস্থাপনা বা প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্টের হাতে দায়িত্ব দিতে হয়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্টের হাতে একেবারে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। দেশে সেই পর্যায়ের প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নও হয়নি। বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট উন্নত হতে আরো অন্তত দুই-এক প্রজন্ম সময় লাগবে। তবে দুটো ক্ষেত্রেই পরিবর্তনটা আসতে হবে এবং নিজস্ব নিয়মেই সেটা আসবে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ পারিবারিক ব্যবসা তৃতীয় প্রজন্মের বেশি টিকে থাকে না। অবস্থায় সফলতা নিশ্চিত করতে পারিবারিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা নানা ধরনের কৌশলের বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন হলেও দুঃখজনকভাবে তা নেই। এছাড়া পারিবারিক ব্যবসায়ে সফলতার জন্য সুস্পষ্ট উত্তরাধিকার পরিকল্পনা উপদেষ্টা পরিষদ নিশ্চিত করার প্রয়োজন থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়গুলো যথাযথভাবে হয় না। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, পারিবারিক ব্যবসা টেকসই করার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় নির্ভর করছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা মালিকের মৃত্যু, ব্যবসায় উত্তরাধিকারদের একটা অংশের অনাগ্রহ পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যদের ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা। বৈশ্বিক স্থানীয় দুই প্রেক্ষাপটেই পারিবারিক ব্যবসার চ্যালেঞ্জের মধ্যে নেতৃত্ব, উত্তরাধিকার পরিকল্পনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পারিবারিক সম্পর্ক, পেশাজীবীদের ভূমিকার বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশে পারিবারিক ব্যবসা টেকসই করার ক্ষেত্রে অন্যান্য যে বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে উঠছে তার মধ্যে আছে পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যদের ত্যাগ ধৈর্য, পেশাগত দক্ষ লোকবল নিয়োগ না করে শুধু পরিবারের লোক দিয়েই ব্যবসা পরিচালনা উচিত কিনা সে ব্যাপারে দ্বিমুখী অভিমত, পরবর্তী প্রজন্মের দ্বারা ব্যবসার কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণে পূর্ববর্তী প্রজন্মের সদস্যদের দ্বারা অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা। পারিবারিক লোক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী প্রজন্মের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ প্রশিক্ষণের ঘাটতি। সার্বিকভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ব্যবসা হস্তান্তর প্রক্রিয়াতেই কর্তৃত্ব নিয়ে জটিলতা দেখা দিচ্ছে বাংলাদেশের পারিবারিক ব্যবসাগুলোতে।

পারিবারিক ব্যবসার বৈশ্বিক স্থানীয় প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি জরিপ চালায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক পেশাজীবী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপার্স (পিডব্লিউসি) তাদের সেই জরিপের ফলাফলেও এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ব্যবসা হস্তান্তরে চ্যালেঞ্জগুলো উঠে আসে। পিডব্লিউসির সেই জরিপ অনুযায়ী, দেশে পারিবারিক ব্যবসাগুলোর প্রধান চ্যালেঞ্জ সঠিক দক্ষতা সক্ষমতার জোগান নিশ্চিত করা। পারিবারিক ব্যবসাগুলোর বিকাশ হয়েছে মূলত প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের দ্বারা।

ফুয়েলিং বিজনেস গ্রোথ থ্রু ভ্যালুজ অ্যান্ড পারপাজ ইন ডিজিটাল এজ, পিডব্লিউসি বাংলাদেশ ফ্যামিলি বিজনেস সার্ভেশীর্ষক জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৮৪ শতাংশই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ৯১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ব্যবস্থাপনা মালিকানা তুলে দেয়ার পরিকল্পনায় রয়েছে। ৩১ শতাংশ পারিবারিক ব্যবসায় অনানুষ্ঠানিক উত্তরাধিকারের পরিকল্পনা করছে। পরবর্তী দুই বছর প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ৯১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।

পারিবারিক ব্যবসায় বিশেষায়িত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেগ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস বাংলাদেশ বৈশ্বিক পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে এক পর্যালোচনায় বলছে, পারিবারিক ব্যবসায়তৃতীয় প্রজন্ম লক্ষণদেখা যায়। সাধারণত প্রথম প্রজন্ম ব্যবসা গড়ে তোলে দ্বিতীয় প্রজন্ম তা রক্ষণাবেক্ষণ করে। তৃতীয় প্রজন্ম ব্যবসাকে নিচে নামিয়ে নেয়। এরপর চতুর্থ প্রজন্মকে আবারো নতুন করে প্রথম প্রজন্মের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু চাইলেই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।

আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুভাবে ব্যবসায় আসছে। একটি হলো শিক্ষিত উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরু করছেন, আরেকটি হলো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম, যশোর, ঢাকাসহ অনেক জেলার পারিবারিক ব্যবসা বর্তমানে ব্যালান্সশিট উন্নয়ন করে করের আওতায় আসছে। আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত শক্ত করছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করা নির্বাহী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে নতুন সংস্কৃতিও নিয়ে আসছে। চর্চা অব্যাহত রেখে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সুসংগঠিত করতে হবে। এভাবে পারিবারিক ব্যবসা টেকসই রূপ পাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন