নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে গত মে মাসেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রফতানি কমেছে। বৃহস্পতিবার ইইউর পরিসংখ্যান দপ্তর প্রকাশিত উপাত্তে তা উঠে এসেছে। খবর আনাদোলু।
ইউরোস্ট্যাট বলছে, গত মে মাসে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট জোটটির রফতানি ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৯৮০ কোটি ইউরো বা ১৪ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বছরওয়ারি ২০২০ সালের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি ১২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৭৬ হাজার ৭৭০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।
গত মে মাসে ইইউর আমদানি ১২ হাজার ২৬০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৭১০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে বৈদেশিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৮৬০ কোটি ইউরো।
আন্তঃইইউ বাণিজ্যও ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৫৭০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। মে মাসে ইউরো ও মার্কিন ডলারের বিনিময় হার দাঁড়িয়েছিল ১ দশমিক শূন্য ৯।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ব্লকটির বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য ৫ হাজার ৪৮০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৪১০ কোটি ইউরো।
জানুয়ারি থেকে মে মাসে ব্লকটির মোট রফতানির সিংহভাগ ছিল মেশিনারি ও যানবাহন। এ খাতে মোট রফতানি হয়েছে ২৮ হাজার ৭৫০ কোটি ইউরো। রাসায়নিক ও অন্যান্য তৈরি পণ্য রফতানি হয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি ও ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ইউরো।
প্রথম পাঁচ মাসে ইইউর শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে এবং রফতানি করেছে ৮ হাজার ৯৯০ কোটি ইউরোর পণ্য। ইউরোস্ট্যাট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউর অধিক রফতানি হয়েছে যুক্তরাজ্য, চীন, সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়ায়।
ইইউর আমদানির সর্বোচ্চ উৎস হচ্ছে চীন, যেখান থেকে ১৪ হাজার ৮২০ কোটি ইউরোর পণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানিতে তারপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়া।
