দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভোক্তামূল্য সূচক কমেছে নিউজিল্যান্ডে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিউজিল্যান্ডে ভোক্তামূল্য সূচক (সিপিআই) দশমিক শতাংশ কমেছে। মূলত নভেল করোনাভাইরাসের কারণে জ্বালানির দর এবং হোটেল মোটেলের ভাড়া কমে যাওয়ায় পতন হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া।

স্ট্যাটিস্টিকস নিউজিল্যান্ডের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের শেষ প্রান্তিকের পর এই প্রথম কোনো প্রান্তিকে সিপিআই কমল। সেই প্রান্তিকেও সূচকে দশমিক শতাংশ পতন হয়েছিল।

স্ট্যাটিস্টিকস নিউজিল্যান্ডের মূল্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক অ্যারন বেক বলেছেন, কভিড-১৯ প্রায় সব খাতেই অস্থিতিশীলতা অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এসব কারণে পণ্য সেবার মূল্যে ব্যাপক ওঠানামা দেখা গেছে।

আলোচ্য প্রান্তিকে নিউজিল্যান্ডে পেট্রলের দাম ১২ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের শেষ প্রান্তিকে সবচেয়ে বড় পতন। বেক জানান, বছরের প্রথম চার মাসেঅপরিশোধিত তেলের বৈশ্বিক দরে ব্যাপক পতন হয়। এপ্রিলে তো এর দাম রেকর্ড সর্বনিম্নে নেমে আসে। সারা বিশ্বে আরোপিত লকডাউন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় অপরিশোধিত জ্বালানির চাহিদায় ধস নামে। এসবের ফলে পাম্পগুলোয় জ্বালানির দামও অনেক কমে যায়।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডমেস্টিক অ্যাকোমোডেশন প্রাইসে ১৪ শতাংশ পতন হয়েছে। মূলত হোটেল মোটেলগুলোয় ভাড়া ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার কারণেই পতন।

গত মার্চের শেষের দিকে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বর্ডারগুলো বিদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় এবং লেভেল ফোর লকডাউন আরোপ করা হয়। জরুরি খাত ছাড়া অন্য খাতের কর্মীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। সময়ে স্থানীয়দের চলাচলও কমে যায়।

বেক বলেন, পুরো গ্রীষ্মে ডমেস্টিক অ্যাকোমোডেশন প্রাইস বেড়েছে। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা কমে যায়। এর আগেও সূচকটিতে পতন দেখা গেছে। কিন্তু এবারেরটি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

গত এপ্রিলে লকডাউনে প্রবেশের সময় নিউজিল্যান্ডে টয়লেট পেপার হাইজিন পণ্য কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এমনকি একসময় কিছু পণ্য বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় প্রান্তিকজুড়ে দেশটিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পণ্য সেবার মূল্যসূচক দশমিক শতাংশ বেড়েছে।

নভেল করোনাভাইরাস যে প্রায় সব দেশেই ভোক্তাব্যয়ে প্রভাব ফেলেছে, নিউজিল্যান্ড তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ভাইরাস সংক্রমণে তারা বেশ সফল হলেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকটির পতন ঠেকাতে পারল না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন