মহামারীতে অনাহারীদের জন্য ১০.৩ বিলিয়ন ডলার তহবিল চায় জাতিসংঘ

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে সাহায্য করার অভিপ্রায়ে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহের মিশনে নেমেছে জাতিসংঘ। অতীতে এত বড় সাহায্য তহবিলের আবেদন কখনই করেনি জাতিসংঘ। 

জাতিসংঘ বলছে, কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে আগামী বছর অন্তত ২৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে ভুগতে পারে। তাই এই সাহায্যের আবেদন। নিম্ন আয়ের ও ভঙ্গুর দেশগুলোর জন্যই এই তহবিলের অর্থ খরচ করা হবে। 

গত মার্চে প্রথমকার আবেদনে ২০০ কোটি ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল জাতিসংঘের, যা এখন বেড়ে হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। ইউএন বলছে, সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে কয়েক দশকের উন্নয়ন ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। 

করোনাভাইরাস মহামারী বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর ওপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলছে। সেখানে এমনিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার রসদের অভাব, তার ওপর যোগ হচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি। এমনকি মহামারী শেষ হওয়ার পরও এটি তাদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। এটি মোকাবেলার জন্যই মাঠে নেমেছে জাতিসংঘ। 

তহবিল সংগ্রহের নতুন রেকর্ড হলেও জাতিসংঘ এটিকে সময়ের দাবিই বলছে। তাদের কথা, ধনী রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজেদের জনগনের সুরক্ষায় নানাবিধ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, এখন বিশ্বের দরিদ্র মানুষকে রক্ষার্থেও তাদের সমানভাবে এগিয়ে আসা উচিত। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলছে, যদি সেটি করা না যায়, তবে আরো বহু সংকট তৈরি হবে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ অনাহারে ভুগবে।  

লাখ রাখ পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনের কারণে কাজ করতে পারছেন না বলে বাড়িতে টাকা পাঠাতেও পারছেন না, শিশুদের টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম ঝুলে আছে অর্থাভাবে এবং যুদ্ধে লিপ্ত গরীব দেশগুলোতে কভিড-১৯ মোকাবেলার মতো যথেষ্ট অর্থ ও সরঞ্জামাদি নেই।

ইয়েমেন কভিড-১৯ আক্রান্তদের এক চতুর্থাংশই মারা গেছে, যা বিশে^র মৃত্যু হারের পাঁচগুণ! পাঁচ বছরের যুদ্ধে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোই ভেঙে গেছে এবং পরীক্ষার অভাবে কভিডের সংক্রমণ বাড়ছেই।

যুক্তরাজ্যের ডিজঅ্যাস্টার্স এমার্জেন্সি কমিটির (ডিইসি) হাত ধরেই প্রথমে বিশে^র ভঙ্গুর মানুষগুলোর জন্য সাহায্যের আবেদন তৈরি হয়। অক্সফাম, ক্রিস্টিয়ান এইড, ইসলামিক রিলিফ ও ব্রিটিশ রেড ক্রসসহ মোট ১৪টি দাতব্য সংস্থা দাতব্য তহবিলে অর্থ সাহায্য দিতে যুক্তরাজ্যের মানুষকে আহ্বান জানাবে। 

বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও ৫ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 

সূত্র: বিবিসি 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন