নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই চলছে মাস্ক বিতর্ক। কাদের মাস্ক পরা উচিত এবং কাদের উচিত না সে নিয়ে শুরু থেকেই আসছিল বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক। মাস্ক পরার বিপক্ষে অবস্থান নেয়াদের তালিকায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। কিন্তু গত কিছুদিনে বদলে গেছে পরিস্থিতি। দিন কয়েক আগে ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় জনসম্মুখে আসতে দেখা গেছে।
এটা বেশ নাটকীয় পরিবর্তনই বলতে হয়। কারণ ট্রাম্প কেবল মাস্কবিরোধীই ছিলেন না, মাস্ক পরা লোকদের নিয়ে হাস্যরস ও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।
বৈশ্বিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক দায়িত্বশীল সংগঠন শুরুতে বলেছিল ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক কার্যকর নয়। যদিও তারা এখন মাস্ক পরার পক্ষে বলছে এবং অনেক সরকারও এখন মাস্ককে বাধ্যতামূলক করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিবর্তন কেন হলো? মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ১০টি দেশে মাস্ক পরার বিধান ছিল। কিন্তু এখন ১৩০টির বেশি দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেক গবেষণা বলছে মাস্কের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন এসেছে।
যেসব দেশে মাস্ক পরার অতীত ইতিহাস নেই যেমন ইতালির ৮৩.৪ শতাংশ লোক মাস্কের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের (৬৫.৮ শতাংশ) ও স্পেনের (৬৩.৮ শতাংশ) লোক মাস্ক পরার অভ্যাস গ্রহণ করেছে। এ পরিবর্তন ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় তা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারার সঙ্গে কিছুটা হলেও সম্পর্কিত। এছাড়া কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে উপসর্গহীন লোকেরা বেশ ভালোভাবেই রোগ ছড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে মাস্ক এটিকে অন্যদের কাছে ছড়ানো থেকে রক্ষা করে।
বিবিসি