প্রথম ‘স্মার্ট ল্যাম্পপোল’ চালু করল ইডটকো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় দেশের প্রথম স্ট্রিট ফার্নিচার স্মার্ট ল্যাম্পপোল চালু করেছে সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক স্মার্ট সিটি ফিচার চালু করা হলো।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট ল্যাম্পপোলের উদ্বোধন করেন। সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, শিক্ষাবিদ লেখক অধ্যাপক . মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমদসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফাইবার অ্যাট হোম, সেবা (আইএসপি) অন্য টেলিকম অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে দেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী স্মার্ট ল্যাম্পপোল স্থাপনের এটিই প্রথম সম্মিলিত প্রয়াস। সমন্বিত সলিউশন বিনা মূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা, নিরাপত্তা নজরদারি (ঐচ্ছিক), আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট বিন, রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং প্রদান করা ছাড়াও কমিউনিটি মেসেজ প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাইনেজ হিসেবে কাজ করবে, যা মূলত আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।

অনুষ্ঠানে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রথমবারের মতো ধরনের স্মার্ট সিটি সলিউশন গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক এবং বেসামরিক সেবার ক্ষেত্রে নগরবাসীকে একটি নতুন এবং উন্নত প্লাটফর্ম প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। পরীক্ষামূলক উদ্যোগ সফল হলে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা উত্তরজুড়ে আরো প্রায় ২০০-২৫০টি (আনুমানিক) জায়গাতে আমরা রকম স্মার্ট সলিউশন স্থাপন করব। চমত্কার নেটওয়ার্ক সংযোগ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি নাগরিক সুবিধার সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই উদ্যোগটির লক্ষ্য। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ একটি আদর্শ উদাহরণ বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে টাওয়ার ব্যবস্থাপনা কোম্পানিটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খালি/অব্যবহূত জায়গাতে টাওয়ার স্থাপন করে সেটি মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে এবং এর বিনিময়ে তারা নগরবাসীর জন্য বিনা মূল্যে ওয়াইফাই, আলো, এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট, সচেতনতামূলক বার্তা, স্মার্ট বিন ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ইডটকো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আগামীতেও আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন