আজারবাইজান আর্মেনিয়া সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত ১৬

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান আর্মেনিয়ার মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের সংঘর্ষে ১১ সেনাসদস্য এক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর জেনারেল কর্নেলসহ মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। অন্যদিকে চার সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ। নিয়ে রোববার শুরু হওয়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট মারা গেছে ১৬ জন। এএফপি।

আজারবাইজানের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী করিম ভালিয়েভ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে দেশটির মেজর জেনারেল পোলাড গাশিমভ, কর্নেল ইলগার মরিজোয়েভ এবং পাঁচ সেনাসদস্য বীরের মতো লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে রোববার শুরু হওয়া আঞ্চলিক সংঘাতে আজারবাইজানের মোট ১১ জন নিহত হলো। এছাড়া দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংঘাতকালে তোভুজ এলাকায় একটি গ্রামে এক বেসামরিক নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে। ভালিয়েভ দাবি করেছেন, আজারবাইজান সেনাবাহিনীর পাল্টা আঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১০০ আর্মেনীয় সেনাসদস্য।

এদিকে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের সেনাবাহিনীর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। মঙ্গলবার কেবল তাদের চার সেনাসদস্য নিহত হন। মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আজারবাইজান আর্মেনিয়া কয়েক দশক ধরেই নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ সংঘাতে লিপ্ত আছে। সংঘাতের মূলে রয়েছে আজারবাইজানের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল নাগোরনি কারাবাখ। ১৯৯০-এর দশকে এক যুদ্ধে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী দখলে নিয়ে নেয়। ওই যুদ্ধে প্রাণ হারায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। অঞ্চল ছাড়া উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধের তেমন কোনো নজির নেই। কিন্তু রোববার উভয় পক্ষই উত্তরাঞ্চলের সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে জড়ায়।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনীয় সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় তোভুজে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মঙ্গলবারের হামলায় কামান, মর্টার বড় ক্যালিবারের মেশিনগান ব্যবহার করে। বেশ কয়েকটি গ্রাম হামলার শিকার হয়। এদিকে আর্মেনিয়া সংঘাতের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছে। আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সীমান্তের উত্তর-পূর্ব সেকশনে তাভুশ প্রদেশে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী হামলা চালায়। এতে তাদের এক মেজর একজন ক্যাপ্টেন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করে বেসামরিক এলাকায় হামলার অভিযোগ এনেছে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শেষ পর্যন্ত উভয় দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। অন্তত বুধবারে নতুন করে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন