ভারতে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ১৮% কর

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের দ্য অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং (এএআর) জানিয়েছে, দেশে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ওপর পণ্য ও সেবা খাতের মতোই ১৮ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। গোয়া-ভিত্তিক এএআর বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধু জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স কাউন্সিল) থেকে কর অব্যাহতি পাওয়া জরুরি পণ্যসামগ্রীই এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে।

ভারতের গোয়া-ভিত্তিক স্প্রিংফিল্ড ইন্ডিয়া ডিস্টিলারিজ কোম্পানি তাদের উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার জিএসটির জরুরি পণ্য ও সেবা খাতের ক্যাটাগরিতে পড়ে কিনা, তা জানতে চেয়ে এএআর-এর কাছে রুলিংয়ের আবেদন জানায়। কোম্পানিটি মূলত জিএসটির জরুরি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ও কর থেকে অব্যাহতির আশায়ই আবদেনটি জানিয়েছিল। এক্ষেত্রে তারা ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের জরুরি পণ্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি, তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ওপর ধার্য করা হচ্ছে ১৮ শতাংশ কর।

রুলিংয়ে এএআর জানায়, সকল অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ওপরই ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করা হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি পণ্যের তালিকায় থাকলেও জিএসটির কর অব্যাহতি পাওয়া পণ্যের তালিকায় এটি নেই এবং এক্ষেত্রে জিএসটির আইনও ভিন্ন। 

ইওয়াই (আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং) ট্যাক্স পার্টনার অভিষেক জৈন বলেন, জিএসটি কর্তৃপক্ষ যে অবস্থান নিয়েছে, এই রুলিং তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণই। তার কথায়, ‘উৎপাদনের কাঁচামাল ও ব্যবহার ভেদের কারণেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক। তবে মহামারীর সময় এর গুরুত্ব আর বহু কাঁচামাল দিয়ে তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচিত সুস্পষ্টভাবে শ্রেণিবিন্যাস করে দেয়া, যাতে এ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মামলা-মোকদ্দমা এড়ানো যায়।’

একটি ‘ওষুধ’ হিসেবে ১২ শতাংশ কর দিয়ে আসছিল অ্যালকোহল-ভিত্তিক কাঁচামালে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ নিয়ে গত মাসে জিএসটি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয় দ্য সেন্ট্রাল ইকোনোমিক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। এবার এএআর জানিয়ে দিল, কোনো সৃষ্টিশীল কিংবা ঔষধি উপাদানহীন সাধারণ অ্যালকোহলে তৈরি স্যানিটাইজারকে কোনোভাবেই ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। 

সূত্র: স্ক্রল ডট ইন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন