কর্মীদের হংকং থেকে সরিয়ে সিউলে নিচ্ছে নিউইয়র্ক টাইমস

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীন কর্তৃক জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করার পর হংকংবাসী ভুগছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়। চীনা কর্তৃপক্ষ হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা অফিস খুলেছে। সবকিছু আসছে কঠোর নজরদারিতে। 

চীন জানিয়েছে, অন্তত ৬ লাখ মানুষ নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে আমেরিকান সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস তাদের কিছু স্টাফ হংকং থেকে সরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে স্থানান্তর করতে যাচ্ছে।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নতুন আইন সংস্থা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং সাংবাদিকতার একটি কেন্দ্রস্থল হিসেবে হংকংয়ের অবস্থানও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। 

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, তাদের অধিকাংশ প্রতিবেদকই হংকংয়ে থেকে যাবেন, তবে ডিজিটাল এডিটিং দল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানান্তর করা হবে।

চীনের মূল ভুখণ্ডে সংবাদমাধ্যম সব সময়ই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে থাকলেও হংকংয়ে তারা এখন পর্যন্ত স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে। এখানে বিশ্বের অনেক নামিদামি সংবাদমাধ্যমের আঞ্চলিক কার্যালয় অবস্থিত। তবে নতুন নিরাপত্তা আইন এই স্বাধীনতার দিকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে। কোনো ধরনের আন্দোলন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কিংবা বিদেশী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশকে শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এজন্য আজীবন কারাবাসের শাস্তি হতে হতে পারে এই আইনে।

এমন পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক টাইমসের নির্বাহীরা তাদের নিজেদের স্টাফদের উদ্দেশে ইমেইল করেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘হংকংয়ে চীনের সুদূরপ্রসারী নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনেক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। নতুন আইন প্রভাব ফেলবে আমাদের কর্মকাণ্ডে ও সাংবাদিকতায়। কাজেই ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমাদের কিছু এডিটিং স্টাফকে অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে দেয়াই বিচক্ষণতার কাজ হবে বলে আমরা মনে করছি।’

প্রায় এক দশক ধরে হংকংয়ে অফিস রয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের। বিশ্বখ্যাত এ সংবাদপত্রটি ঠিক কতজনকে সরিয়ে নিচ্ছে, তা জানায়নি। 

তবে জানা গেছে, তাদের মোট কর্মীর এক তৃতীয়াংশ যাচ্ছেন সিউলে। যদিও এরা হংকংয়ের প্রতিবেদক দলের সদস্য নয়। এরা হলেন ডিজিটাল অপারেশন টিমের সদস্য। নিউইয়র্ক ও লন্ডনের অফিস যখন অফলাইনে থাকে তখন এই দলটিই অনলাইন কাভারেজ সামলায়। 

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন