সাহেদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান

নথি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৯ প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে নয় প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ (ডিএনসিসি) নয়টি প্রতিষ্ঠান। গতকাল অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের স্বাক্ষরে এসব চিঠি পাঠানো হয়।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে মো. সাহেদ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে যৌথ মূলধন কোম্পানি ফার্মসমূহের দপ্তর, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ প্রধান, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক, দ্য ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখা ব্যবস্থাপক, জাতীয় প্রতিষেধক সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এনবিআরের কর অঞ্চল--এর উপ-কর কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম পরিচয়ে ব্যাংকঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে কমিশন। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ওই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা মিরপুর শাখার নিবন্ধন ইস্যু নবায়নের সত্যায়িত কপি, কভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে হাসপাতাল দুটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি সংক্রান্ত নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নথিপত্রের সত্যায়িত কপি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর আগে গত সোমবার মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে দুদক। উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী শেখ মো. গোলাম মাওলা।

প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়া, সরকারের কাছে বিল দেয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালের নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে র‌্যাবে এক অভিযানের মধ্য দিয়ে। গত সপ্তাহে পরিচালিত ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে র্যাব। এছাড়া ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করা হয়েছে। ঘটনায় র‌্যাবে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছেন। তবে মালিক মো. সাহেদ গতকাল পর্যন্ত পলাতক ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন