স্থানীয় উদ্ভাবন দিয়েই করোনা-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি —আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রযুক্তিনির্ভর স্থানীয় উদ্ভাবন দিয়েই করোনাকালের মতোই পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এজন্য উদ্যোক্তা সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং ধনী-গরিব, শহর-গ্রামের বৈষম্য ঘোচাতে আইসিটি বিভাগ নিরন্তর কাজ করছে।

গতকাল বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক, বেটার স্টোরিজইউএস মার্কেট অ্যাকসেসের উদ্যোগে কভিড এক্সিলারেটরের প্রথম পর্বের গ্র্যাজুয়েশন প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

পলক বলেন, পরিবর্তিত নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আইসিটি বিভাগ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কৌশল অবলম্বন করেছে।

তিনি বলেন, জন্মগতভাবেই আমরা সমস্যা সমাধান ঝুঁকি গ্রহণের জাতি। প্রতি বছরই আমাদের ঘূর্ণিঝড় বন্যা মোকাবেলা করতে হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শে গত ১১ বছরে গড়ে তোলা ডিজিটাল অবকাঠামোর মাধ্যমে গত চার মাসে কভিড-১৯ মহামারীতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। আর উদ্ভাবন উদ্যোগ বাস্তবায়নে মুহূর্তে বেশি দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। করোনা ট্রেসারসহ কভিড সময়ে নেয়া আইসিটি বিভাগের নানা উদ্যোগ এবং ওয়ালটনসহ দেশীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা অর্জনের কথাও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইউএস ম্যাকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টোফার বেরি, ইউসি বার্কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন সিঙ্গার, অ্যাঞ্জেল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রোনাল্ড ওয়াইজম্যান, ক্যারেজ টেকনলোজি ভেঞ্চার অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিল রিচার্ড এবং গ্লোবাল স্টার্টআপ মেন্টর স্টিভ অ্যাডেলম্যান। তিন পর্বের এই ওয়েবিনারটি উপস্থাপনা করেন আইসিটি বিভাগের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা মেহজাবিন। সেপ্টেম্বরে কভিড এক্সিলারেটরের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন