ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহন

৩১ স্টেশন থেকে গরু যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের ৩৪টি স্টেশন থেকে ঢাকা চট্টগ্রামে এসব পশু পরিবহন করা হবে। এরই মধ্যে পশু পরিবহনের জন্য ভাড়ার হারও নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। তবে কবে নাগাদ পশু পরিবহন শুরু হবে সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য দিতে পারেননি রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর থেকে ঢাকায় একটি গরু পরিবহন করতে খরচ হবে ৮৫৯ টাকা। একইভাবে পার্বতীপুর থেকে ৮২০ টাকা, ফুলবাড়ী থেকে ৭৯৮, পাঁচবিবি থেকে ৭৫৫, জয়পুরহাট থেকে ৭৪১, আক্কেলপুর থেকে ৭২৩, সান্তাহার থেকে ৭০১, বগুড়া থেকে ৭৫৩, গাইবান্ধা থেকে ৮৩০, নাটোর থেকে ৬৪৫, যশোর থেকে ৮৫৬, বারবাজার থেকে ৮২৫, মোবারকগঞ্জ থেকে ৮১০, কোটচাঁদপুর থেকে ৭৯৪, আলমডাঙ্গা থেকে ৭২৪, ভেড়ামারা থেকে ৬২১, চুয়াডাঙ্গা থেকে ৭৪৪, কুষ্টিয়া থেকে ৭২০, কাকনহাট থেকে ৭০৬, রহনপুর থেকে ৭৫৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৭৩৯, আমনুরা থেকে ৭২৪, সরদহ রোড থেকে ৬৭৫, আড়ানী থেকে ৬৭৫, আজিমনগর থেকে ৬১৮, মুলাডুলি থেকে ৫৯৩, জামতৈল থেকে ৫২০, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ৫১৮, ইসলামপুর থেকে ৫১৮, দূরমুট থেকে ৪৯৭ টাকা এবং মোন্দদহ স্টেশন থেকে রাজধানী ঢাকায় একটি গরু পরিবহন করতে খরচ হবে ৪৮৮ টাকা।

ঢাকা ছাড়াও দেশের তিনটি স্টেশন থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কোরবানির পশু পরিবহন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে বগুড়া থেকে চট্টগ্রামে একটি গরু পরিবহন করতে খরচ হবে হাজার ১৫৪ টাকা। একইভাবে গাইবান্ধা থেকে হাজার ২৩১ নাটোর থেকে চট্টগ্রামে একটি গরু পরিবহন করতে খরচ হবে হাজার ২৮ টাকা।

গরুবাহী ওয়াগনে কিলোমিটারপ্রতি ২০ টাকা ধরে এই ভাড়ার হার নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। একটি ওয়াগনে পরিবহন করা হবে ১৬টি গরু। এই ভাড়ার সঙ্গে টার্মিনাল চার্জ অ্যাডিশনাল সারচার্জও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিবহনের সময় পশুর খাবার পানির দায়িত্ব পশুর মালিককেই বহন করতে হবে।

গত জুলাই রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রেলপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ঘোষণা দেন। তবে কোরবানির পশু কবে থেকে পরিবহন করা সম্ভব হবে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পশু পরিবহনের তারিখ ঠিক করা হবে।

রেলওয়ে সর্বশেষ পশু পরিবহন করেছিল ২০০৮ সালে। সে সময় দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ঢাকার কমলাপুরে পশু আনা হয়েছিল। তখন চার চাকার ওয়াগনে পশু পরিবহন করা হতো। বর্তমানে রেলওয়েতে আর কোনো চার চাকার ওয়াগন চলাচল করে না। কোরবানির পশু পরিবহনের আট চাকার ওয়াগন ব্যবহার করা হবে। আগ্রহী ব্যবসায়ীদের রেলওয়ের কন্ট্রোল নম্বর ০১৭১১৬৯১৫২০- যোগাযোগ করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় সরকার মানুষের চলাচল নিরুৎসাহিত করছে। আমরা সরকারের সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঈদের সময় বাড়তি কোনো ট্রেন যোগ করব না। বর্তমানে সীমিত পরিসরে যেভাবে চলছে, ঈদেও সেভাবে চলবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শাসছুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহানসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন