বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে নদীভাঙন

বণিক বার্তা ডেস্ক

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকালও যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে নদীভাঙন। গতকাল সিরাজগঞ্জ লালমনিরহাটে নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

কুড়িগ্রাম: জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। অবস্থায় জেলার নয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। যাদের ঘর-বাড়িতে বিছানাপত্র সবকিছুই তলিয়ে গেছে, তারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ: যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনও। সদর উপজেলার শিমলায় পাউবোর শিমলা স্পারটির আরো প্রায় ৫০ মিটার পাকা কংক্রিট অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরো অন্তত ১০০ মিটার অংশ। এসব এলাকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

পাউবোর পরিচালন রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় স্পারটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই পানির তোড়ে তা ভেঙে গেছে।

লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যায় তিস্তারক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫০ একর জমি পানিতে তলিয়ে যায়। পানি নামার পর এসব জমিতে বালি আটকে গেছে। তাই বছর আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া হাতিবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারি, ডাউয়াবাড়ি পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে তিস্তা তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ১৫-২০টি পরিবার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন