এশিয়ায় চার সপ্তাহ ধরে এলএনজির দাম স্থিতিশীল

বণিক বার্তা ডেস্ক

এশিয়া তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির শীর্ষ ভোক্তা অঞ্চল। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মাঝে কিছুদিন অঞ্চলটিতে এলএনজির চাহিদা বেড়েছিল। সঙ্গে জ্বালানি পণ্যটির দামও বেড়েছিল। তবে সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে এশিয়ার অনেক দেশ। এতে অঞ্চলটিতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী দুর্বল চাহিদা স্পট মার্কেটের ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পাওয়ায় চলতি সপ্তাহসহ টানা চার সপ্তাহ এশিয়ায় এলএনজির দামে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রয়েছে। খবর রয়টার্স।

চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় আগামী আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (প্রতি ঘনফুটে হাজার ৩৬ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজির গড় দাম দাঁড়াতে পারে ডলার ২০ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত। নিয়ে গত চার সপ্তাহ পণ্যটির দাম অনড় রয়েছে।

এদিকে দাম নিম্নস্তরে অবস্থান করার পরও এশিয়ায় এলএনজিবাহী কার্গোর চাহিদায় তেমন তত্পরতা দেখা যায়নি। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতির জন্য দায়ী বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের উদ্বৃত্ত সরবরাহ। এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেই পণ্যটির মজুদ রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।

যা- হোক, চলতি সপ্তাহে পণ্যটির কয়েকজন বিক্রেতাকে স্পট মার্কেটে কার্গো সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে রাশিয়ার সাখালিন প্লান্টটি আগামী আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে একটি কার্গোর দরপত্র আহ্বান করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ইচথিচ প্লান্ট চলতি মাসের শেষের দিকে আগামী মাসের প্রথম দিকে সরবরাহ চুক্তিতে দুটি কার্গো বিক্রি করেছে। একই সময়ে আগামী আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে আবু দুবাই ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশন (এডিএনওসি) ফ্রি অব বোর্ড চুক্তিতে একটি কার্গো বিক্রি করেছে, যার প্রতি মিলিয়েন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজির দাম দাঁড়িয়েছে ডলার ৮০ সেন্ট থেকে ডলার ৯৫ সেন্টের মধ্যে। এছাড়া এক্সন মোবিলের পাপুয়া নিউগিনি রফতানি প্লান্টকে প্রতি মিলিয়েন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি ডলার ১৫ সেন্টে এক্স-শিপ ভিত্তিতে চলতি মাসের শেষের দিকে সরবরাহ চুক্তিতে একটি কার্গো অফার করতে দেখা গেছে।

চাহিদার দিক দিয়ে চলতি সপ্তাহে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি বোতাসকে আগামী আগস্ট সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে পাঁচটি এলএনজিবাহী কার্গো খুঁজতে দেখা গেছে। ভারতের এসান স্টিল কোম্পানি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সরবরাহ চুক্তিতে কার্গো খুঁজছিল। এর বাইরে আর্জেন্টিনার জ্বালানি কোম্পানি এনারজেটিকা আর্জেন্টিনা (আইইএসএ) তার টেন্ডারে আগস্ট সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে ছয়টি কোম্পানি থেকে অফার পেয়েছে। আর্জেন্টিনায় বছর এলএনজি চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবার দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ ৩০ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমে আর্জেন্টিনা বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন